পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক মা। ছোট এই শব্দের মাঝে লুকিয়ে আছে আস্থা, ভালোবাসা আর হাজারও আবদার। আর তাই পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন ‘মা’-এর প্রতি সন্তানের আচরণ হোক সর্বোত্তম ও মমতাময়ী। তবে, মা’দের প্রতি রূঢ় ও অসদাচরণকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলেও মনে করেন বিশিষ্টজনরা।
মায়া-মমতা আর ভালোবাসার বন্ধনে দুই সন্তানকে আগলে রেখেছেন সালমা জাহান। সংসারের শত ব্যস্ততার মাঝেও সন্তানদের প্রতি আদর-যত্নে নেই কোন ঘাটতি।
ঘরের কাজকর্ম আর শিশুদের দেখাশোনা করতে গিয়ে অনেক সময় নিজের খাওয়ার কথাও ভুলে যান তিনি। এক মা বলেন, ‘সংসারের কাজকর্ম করে খাওয়া দাওয়া করা কষ্ট হয়ে যায়। ছেলে দুইটা আমাকে ছাড়া কিছু বোঝে না।’
এদিকে সংসারের খরচ যোগান দিতেই হিমশিম খেতে হয় খেটে খাওয়া মানুষদের। যদিও নুন আনতে পান্তা ফুরায় তবুও অভাবের সংসারেও সন্তানদের প্রতি রয়েছে মা’দের যথেষ্ট ভালোবাসা।
দরিদ্র এক মা বলেন, ‘অনেক সময় ওরা বিভিন্ন জিনিস খেতে চায়। কষ্ট হলেও চেষ্টা করি দিতে কিন্তু সব সময় পারি না।’
গর্ভধারণ থেকে সন্তান লালন পালন পর্যন্ত যাদের এতো ত্যাগ সেই মা’দের অনেককেই শেষ বয়সে এসে মুখোমুখি হতে হয় নির্মম নিয়তির। জীবনের ক্রান্তিলগ্নে এসে সন্তানদের আদর যত্ন দূরের কথা ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রম। সেখানে থাকা কে মা বলেন, ‘বিয়ের পর ছেলে কথা শোনে না। বলে আমার কথা নাকি তার শুনতে ভাল লাগে না। কোন খোঁজ খবর নেয় না।’
মানবাধিকার কর্মী এলিনা খান বলেন, ‘অমানবিক ভাবে তাদের রাখা হয়। যেটা আইনের চরম লঙ্ঘন। এখন আইনে আছে মা বাবাকে দেখতে হবে সেবা যত্ন করতে হবে।’
সন্তানদের জন্য যাদের ভালোবাসা নি:স্বার্থ সেই মায়েদের প্রতি সন্তানদের আচরণ হবে একই রকম শ্রদ্ধা ও মমতাময় এমনটাই প্রত্যাশা মায়েদের।
সূত্র:somoynews.tv-ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.