এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
করোনা পরিস্থিতির কারনেই পর্যটন স্পট বন্ধ থাকায় ঈদের পরপরই নর-নারী পর্যটকদের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে কক্সবাজার রেললাইন। আর সেখানেই বিকেলে ঘুরতে আসেন গ্রামীণ জনপদের অসংখ্য তরুণ তরুণীসহ নানান শ্রেণিপেশার সাধারণ মানুষ। রেললাইনে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীড় যেন লক্ষ্যনীয়।
দেখা যায়, স্বপ্নের ট্রেন আসছে এই শহরে। এমনকি রেল বিট স্থাপন করছে নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম হতে লালশরিয়া পাড়া পর্যন্ত। সে নবনির্মিত রেললাইন স্পটে দেখতেই চমৎকার। মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট বটে। কখন আসছে ট্রেন, এমনি প্রশ্নে ঘোরপাক খাচ্ছে বৈকালিক বেড়াতে আসা মানুষের মাঝে।
একদিকে চার লাইনের মহাসড়ক, অন্যদিকে নব নির্মিত রেল লাইন। দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মহা কর্মযজ্ঞ।
বর্তমান সময়ে মহামারীর মত কঠিন দিনে বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকার পরেও ঈদমুখী লোকজন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনামুখর পরিবেশে আত্মীয় স্বজনসহ পরিবার পরিজনকে সাথে নিয়েই ছুটে যাচ্ছেন রেললাইনে বৈকালিক সৌন্দর্য্য মনের মত করে উপভোগ করতে। সেখানে এখন ভ্রমণপিপাসু দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়ে পড়েছে।
২১ জুলাই (ঈদুল আযহা) দিন স্থানীয় রাবারড্যাম পয়েন্টে বিকেলে রেললাইনের ব্রীজে ঘুরতে গেলে চোখে পড়ে কেউ বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে, অন্যরা সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, অনেকে ঘুরাঘুরি করে আপন জনের সাথে ছবি তুলতে চোখে পড়ে।
এছাড়া রেল বিটকে ঘিরে উঠতি প্রজন্মের তরুণ সমাজ নব উদ্দীপনায় জেগে উঠেছে। অবসর সময় কাটানোর জন্য যুবক-যুবতীর পাশাপাশি বয়োজ্যেষ্ঠও আসছে একনজর দেখতে।
স্থানীয় পর্যটক মোজাম্মেল হক জানান, দলবেঁধে মানুষ আসছে রেল বিটের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে। এটি একটি অস্থায়ী মিনি পর্যটন কেন্দ্রেই রুপ লাভ করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিকেলে রেললাইন সড়কে বিটকে কেন্দ্র করেই লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
সেচ্ছাসেবী সংগঠক ইমরান তাওহীদ রানাসহ অনেকে জানান, তরুণ তরুণী ও স্থানীয়সহ দুরবর্তী বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন বিকল্প বিনোদনের স্থান হিসেবে বেচে নিল রেল লাইনকে। তরুণদের উচ্ছাস যেন অটুট থাকুক এ হৃদয়ে।
You must be logged in to post a comment.