মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :
মানুষ নিজের মনের তাড়নায় লেখালেখি করে। কেউ লেখেন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে, কেউ লেখেন মনের আনন্দে। লেখার শুরু যেভাবেই হোকনা কেন, সুন্দর লেখনি ও কলমের এই শক্তি একসময় সমাজকে বদলে দেয়। মনের আনন্দে সরল অভিব্যক্তি প্রকাশের কবি মুহাম্মদ এমরান।
মুহাম্মদ এমরান সরকারি মাতামুহুরী কলেজ লামার একজন ছাত্র। মননে কবি মুহাম্মদ এমরান ‘অনুভূতির সুর’ (কবিতার বই) বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সরকারি মাতামুহুরী কলেজ, লামার বীর বাহাদুর কনফারেন্স ভবনে। বইটি এসেছে বইমই প্রকাশনী থেকে। এছাড়া কবিতার বইটি অমর একুশে বই মেলার দুয়ার প্রকাশনীর ৫৭০ স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে কবি এমরান বলেন, ‘অনুভূতির সুর’ বইটি আমার প্রথম বই। বইটি প্রকাশের পর থেকে বেশ সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সংখ্যায় ছাপানো সব বই শেষ হয়ে গেছে। নতুন সংস্করণের জন্য প্রেসে বলা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আমার ২য় কবিতার বই আসবে বাজারে। তারপর উপন্যাস লেখার চেষ্টা করব। বইটি প্রকাশনার সাথে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ দেন তিনি।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সরকারি মাতামুহুরী কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন। আরো উপস্থিত ছিলেন, কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাবু অংথিং, সহকারী অধ্যাপক মোতাহের হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, প্রভাষক আবু হানিফ, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত, আক্তার কামাল, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ রাসেল, সাবিনা ইয়াছমিন, শামসুল ইসলাম, লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি মুহাম্মদ এমরান, সাংবাদিক ইউছুপ মজুমদার, মোঃ জুবাইরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইসমাইল, বিপ্লব দাশসহ প্রমুখ।
বক্তারা লেখক সম্পর্কে বলেন, লেখার হাত তার অনেক আগে থেকেই ভালো ছিল। কিন্তু প্রকাশে সময় লেগেছে মাত্র। শিক্ষা জীবনের বেশিরভাগ সময়টা কাটিয়েছে লেখালেখিতে। তার লেখার মধ্যে সারল্যতার প্রাধান্যটাই বেশি।
অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার ছাত্র মুহাম্মদ এমরানকে। বইটিতে সামাজিক সমস্যা, মানুষের দুঃখ-কষ্ট, জনসচেতনতা, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা বিষয়ক কবিতা স্থান পেয়েছে। অনেকদিন পর লামায় বই প্রকাশ হল। লেখনির এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
You must be logged in to post a comment.