এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় ইউনিয়ন খ্যাত চৌফলদন্ডীতে লোকজন পারাপার হচ্ছে সাঁকো দিয়ে। এতে করে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ লোকজনের দূর্ভোগ আর দূর্গতি চরম পর্যায়ে পৌছেছে।
জানা যায়, গত দু’দিন পূর্বে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ’রোয়ানু’র প্রভাবে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের খামার পাড়া বাজারের পশ্চিম পার্শ্বস্থ নির্মিত ব্রীজের পার্শ্ববর্তী চলাফেরার লক্ষ্যে একটি অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করে। সে রাস্তাটি ঐদিন পানির ধাক্কায় ভেঙ্গে যায়। যার ফলে ঈদগাঁও বাজার হয়ে চৌফলদন্ডী রাখাইনপাড়াসহ প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের লোকজন চলাচলে অন্যরকম বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসবের দিকে দৃষ্টি রেখে ২৩ মে বিকালের দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাসেবক হয়ে গাছ আর বাঁশ দিয়ে চলাফেরার লক্ষ্যে সাঁকো নির্মাণ করে। এ সাঁকোর উপর দিয়ে কক্সবাজার থেকে আসা কিংবা ঈদগাঁও থেকে যাওয়া লোকজন চলাফেরা করছে। এতে করে তারা কোন রকম দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে। আবার ঈদগাঁও-খামার পাড়া-চৌফলদন্ডী ব্রীজের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত রাস্তাটি যত্রতত্র স্থানে খানা খন্দকে ছেয়ে গেছে। পাশাপাশি চৌফলদন্ডী ব্রীজের পরবর্তী একটু অংশ রাস্তার নিচ দিয়ে বৃষ্টির পানি চলাচলের কারণে রাস্তা দেবে গেছে। যাতে করে যানবাহন চলাচলে দারুণভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অন্যদিকে চৌফলদন্ডী ব্রীজের পরবর্তী নির্মিত রাস্তাটির কিনারা পানির ধাক্কায় ভেঙ্গে যাচ্ছে। তবে সাধারণ পথচারীদের মতে, অতিসত্বর এ রাস্তাটি সংস্কার না হলে বর্ষা মৌসুমে প্রচন্ড জোয়ারে ব্যাপক আঘাত আনতে পারে।
সাঁকো নির্মাণ প্রসঙ্গে চৌফলদন্ডী আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহানের মতে, ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তাটির উপর সাধারণ মানুষজনের চলাচলের সুবিধার্থে ইউনিয়ন আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিশেষ অর্থায়নে এটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান।
You must be logged in to post a comment.