এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী; পেকুয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় উকিল আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টইটংয়ের আলোচিত দা-বাহিনীর প্রধান নাছির উদ্দিন ওরফে দা-নাছির দেশ থেকে গোপনে পালিয়ে গেছেন। বৃদ্ধ উকিল আহমদ নিশৃংসভাবে খুন হওয়ার পর ওই ঘটনায় তার ছেলে টইটং ইউপির ১নং ওয়ার্ড়ের সদস্য আব্দুল জলিল বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে। যার নং-২৫/১৪।
এদিকে টইটংয়ের চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলার অগ্রগতি চলছে ধীর গতিতে। ২০১৪ সালের ২৭জুলাই ওই মামলাটি থানায় রেকর্ড হয়। মামলায় টইটংয়ের পন্ডিতপাড়া এলাকার মৃত. আবুল হোসেনের ছেলে ও দা-বাহিনীর প্রধান নাছির উদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ২৪জনকে নাম উল্লেখ করে আসামি করে। এছাড়া আরো ১০-১২জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ায় টইটংয়ের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের হোতা নাছির উদ্দিন দেশান্তর হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছেন নাছির উদ্দিন বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। প্রশাসন ও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ওই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নিজেকে রক্ষা করতে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন বলে সুত্র জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মামলার প্রধান আসামি নাছির উদ্দিন ঘটনার কয়েকমাস পর দেশান্তর হয়েছেন। সাগর পথে অবৈধ উপায়ে ওই নাছির মালয়েশিয়ায় অনুপ্রবেশ করেছেন। চাঞ্চল্যকর উকিল আহমদ হত্যা মামলায় পুলিশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ আবদুর রকিব ওই মামলার অভিযোগপত্র গত বছরের ২২মার্চ আদালতে প্রেরন করেন। অভিযোগ পত্রে মামলার এজাহার নামীয় ছয়জন আসামিকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে টইটং ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীও বাদ যান। জানা গেছে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য বর্তমানে সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। জানা গেছে গত ২০১৪সালের ২৫ জুলাই টইটংয়ের বটতলি স্কুল পাড়া এলাকার মৃত. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে বৃদ্ধ উকিল আহমদ খুন হন। ওই দিন দুপুরে দা-বাহিনীর প্রধান নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্তরা তাকে বাড়ি থেকে টানা হেঁচড়া করে বের করে পার্শ্ববর্তী বটতলি মাঠে নিয়ে যায়। পরে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে খুনীরা বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে চলে যায়। প্রকাশ্যে দিবালোকে উকিল আহমদ খুন হওয়ায় বটতলি এলাকায় আতংক স্তব্ধতা বিরাজ করে। খবর পেয়ে কক্সবাজারের সহকারি পুলিশ সুপার ও পেকুয়া থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বটতলি মাঠে শতশত লোকজনকে উকিল আহমদ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ কর্মকর্তরা।
এদিকে উকিল আহমদের পরিবার দাবি করেছেন তারা হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইনি সহায়তা থেকে উপেক্ষিত হচ্ছেন। মামলার এজাহার নামিয় ছয়জন আসামিকে পুলিশ মোটাংকের টাকা নিয়ে অব্যহতি দিয়েছেন। মামলা হওয়ার পর তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এখন আতংকের মধ্যে রয়েছেন। আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় এ মামলার অগ্রগতি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
You must be logged in to post a comment.