গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলমান মাদক বিরোধী সাঁড়াশী অভিযান এখনো অব্যাহত।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, সীমান্ত প্রহরী টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা গত কয়েকদিন ধরে চলমান এই অভিযানে কঠোর ভূমিকা পালন করে আসছে। সেই সুত্র ধরে ২ জুলাই গভীর রাত থেকে ৩ জুলাই সকাল পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মাদক পাচারে জড়িত ১৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
বিজিবি সুত্রে আরো জানা যায়, ধৃত ব্যক্তিদেরকে ৩ জুলাই বিকাল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। উক্ত আদালত ইয়াবা কারবারে জড়িত এই সমস্ত অপরাধীদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। তারা হচ্ছে হ্নীলা ফুলের ডেইলের মৃত আব্দুল গাফ্ফারের ছেলে শীর্ষ ইয়াবা কারবারী হ্নীলা ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামসুল আলম প্রকাশ বাবুল (৩৮) এবং পূর্ব সিকদার পাড়ার শামসুল আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২), ইয়াবা কারবারে সক্রিয় ভাবে জড়িত থাকায় তাদের দুইজনকে ২ বছর করে সাজা প্রদান করে।
তার পাশাপাশি ইয়াবা পাচারে সহযোগীতাকারী হিসাবে চিহ্নিত বাকী ১১ জনকে ৬ মাস করে সাজা দেয় উক্ত আদালত। তারা হচ্ছে, টেকনাফ পৌরসভা জালিয়াপাড়ার রুহুল আমিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মুন্না (১৮), আবু ছিদ্দিকের ছেলে ছৈয়দ করিম (২৫), নাইট্যং পাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল হক (৩৯), সাবরাং মুন্ডার ডেইলের নুরুল আজিম (১৯), সাবরাং লাফারঘোনার মৃত আব্দুল গণির ছেলে মো রফিক (৩০), হারিয়াখালীর মৃত মাহমুদের ছেলে আব্দুল করিম (৩৫), আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (৩৮), মোঃ হোছনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৬), সাবরাং মাঝের পাড়ার সোলতানের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল (২৬), শরীয়তপুর কৃষ্ণনগরের সিরাজ শেখের ছেলে বাচ্ছু মিয়া (৩০), উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার নুর আহমদের ছেলে আব্দুর রশিদ (১৯)।
সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আছাদুজ্জামান। তিনি আরো বলেন, ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ ও কারবারী, সেবনকারীদের ধরতে আমাদের বিজিবি সদস্যদের এই মাদক বিরোধী চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
You must be logged in to post a comment.