এম.বেদারুল আলম, কক্সভিউ:
নির্বাচন কমিশন মার্চে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশের ৪৫৫৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্নের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়েছে। যে সব ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা বিরোধ রয়েছে তা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে মার্চে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির খবরে গ্রামে-গঞ্জে শুরু হয়েছে ভোটের আগাম সমীকরণ। সদরের নিকটের ইউনিয়ন খুরুশকুলে চলছে ভোটের হিসাব নিকেষ শহরের নিকটের ইউনিয়নের ভোটের পালে হাওয়া লেগেছে অনেক আগে থেকেই। ঈদের সময় এবং নানা সামাজিক কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে দিয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। খুরুশকুলে নতুন পুরাতন মিলে ৭ জন চেযারম্যান প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে ভোটারদের মাঝে।
২০১১ সালে ২১ মার্চ খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তৎকালীন হেভিওয়েট প্রার্থী (অবঃ) সুবেদার আবদুল মাবুদকে হারিয়ে চেয়ারম্যান পদ জিতে নেয় মাষ্টার আবদুর রহিম। এবারের নির্বাচনে তিনিও মান রক্ষায় মাঠে।
জামায়াত নেতা মাষ্টার আবদুর রহিম পুনরায় চেয়ারম্যান হতে আত্মবিশ্বাসী তার কাজের জন্য এমনটাই দাবী এ প্রার্থীর। মাঠে রয়েছেন গেলবারের নির্বাচনে যোগ্যতার জানান দেয়া বিএনপি নেতা হামিদুল হক। তিনি ক্লীন ইমেজের প্রার্থী বলে নিজেকে দাবী করে বলেন ভোটাররা আমার প্রতি এবার আস্থা রাখবে। আ’লীগ নেতা গেলবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জসিম উদ্দিন নিজেকে এবারের নির্বাচনে জনগণের কাংখিত প্রার্থী হিসাবে ভাবছেন। কারণ তিনি সারা বছরই জনগণের পাশে বলে দাবী তার। তবে আ’লীগের অপর প্রার্থী সাবেক মেম্বার আতাউল্লাহ ও নির্বাচনি দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
এছাড়া মাঠে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্করের পুত্র শাহ আলম ছিদ্দিকী, বিএনপি নেতা সাইফুল্লাহ নুর এবং আ’লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সেলিম উল্লাহ। প্রার্থীগণ নিজেদের যোগ্যতায় ভোটারদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে শেষ পর্যন্ত কতজন প্রার্থী মাঠে থাকে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।
You must be logged in to post a comment.