হামিদুল হক, ঈদগড়:
কক্সবাজার জেলার উত্তর-পূর্ব সীমানায় অবস্থিত রামু উপজেলার ঈদগড়। এটি অন্যতম এক প্রকার অবহেলিত এলাকা। এখানকার সিংহভাগ মানুষ খেটে খাওয়া দিন-মজুর, শ্রমিক, কৃষক ও নিম্নআয় ভুক্ত সাধারণ জনগণ। গভীর অরণ্য ও পাহাড়-পর্বত বেষ্টিত এ এলাকার জনগণ বসবাস করছে বিভিন্ন অভাব ও সমস্যা সাথে নিয়ে। তন্মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সমস্যা হলো যাতায়াত ব্যবস্থা। ঈদগড় বাজার হতে ১০ কিলোমিটার সড়কটি সোজা পশ্চিমে গিয়ে ঈদগাঁও ইউনিয়নের মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত। উক্ত সড়কটি ঈদগড় জনগণের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম। পিচঢালা ও ইট সলিং যুক্ত এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য বিভিন্ন শ্রেণীর মালামাল ভর্তি ও যাত্রীবাহী ভারী, হালকা ও মাঝারী ধরণের যানবাহন যাতায়াত করছে। সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ বালু, ইট ও কাঠভর্তি বড় ধরণের ভারী যানবাহন প্রতিনিয়ত যাতায়াত করায় সড়কটির অবস্থা বর্তমানে সুচনীয় হয়ে দাড়িয়েছে। সড়কের মধ্যখানে রয়েছে বড় বড় খাদ ও গর্ত। খানা খন্দকে ভরা এ সড়কের বেহাল দশা দেখলে যে কোন বিবেকবান মানুষকে অবশ্যই দংশন করবে। দীর্ঘদিন যাবত সড়কটির কোন সংস্কার হয়নি। যে কারনে চলমান বর্ষণমুখর দিনে সড়কের খানা খন্দকগুলো বৃষ্টির পানিতে ভর্তি হয়ে গেছে। বর্তমানে চলাচল করতে জনগণের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে।
কয়েকজন যাত্রী সাধারণ সড়কের বেহাল দশা সম্পর্কে জানান, বর্তমানে সড়ক দিয়ে বিপুল সংখ্যক লোক যাতায়াত সমস্যায় মারাত্মকভাবে দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েছে। সড়কটি সংস্কার না করায় দূর-দূরান্তের লোকদের জন্য যাতায়াত সমস্যাটি প্রকট হয়ে দাড়িয়েছে। ঈদগড় বাজারের ব্যবসায়ী অধীর বাবু একই প্রসঙ্গে তাঁর মানসিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমানে সড়কের যাতায়াত ব্যবস্থা এক নারকীয় যন্ত্রণা। খানা খন্দকে ভরা উক্ত সড়কটির সংস্কার কাজে কর্তৃপক্ষের বৈষম্যমূলক আচরণ অবশ্যই তাতে তারা দুঃখিত। কাজেই সড়কটি সংস্কার পূর্বক জাতীয় সমস্যার ভোগান্তি দূরীকরণের জন্য দাবী জানান।
You must be logged in to post a comment.