সামনে আসছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মনসা পূঁজা। ঐতিহ্যবাহী এ পূঁজাকে ঘিরে হাটাবাজারে প্রচূর ছাগলের সমাগম ও বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। বৃহত্তর ঈদগাঁওতে সর্ববৃহত ছাগলের হাটবসে ঈদগাঁও ছাগল বাজারে। জেলার বিভিন্ন স্থান ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলার অনেক লোক ছাগল কেনার জন্য এ হাটে ভীড় জমান। ৮ আগষ্ট শনিবার ছিল ঈদগাঁওয়ে হাটের দিন। এ হাটকে কেন্দ্র করে ছাগল বাজারে সমাগম ঘটে বিভিন্ন জাতের বিপুল পরিমাণ ছাগলের।
ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালী, চৌফলদন্ডী, ইসলামপুর, ভারুয়াখালী, রশিদ নগর, ঈদগড় ও খুটাখালী থেকে ছাগল বিক্রেতারা নানা দামের ছাগল বেচাকেনার জন্য এ হাটে নিয়ে আসেন। ছাগল বাজারকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে সন্ধ্যাঅবধি বাজারের সংশ্লিষ্ট সড়কে ক্রেতা বিক্রেতাদের ব্যাপক আনা গোনার পাশাপাশি তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। মনসা পূঁজার দিন আরো বাকী থাকলেও উত্সাহী ক্রেতা বিক্রেতারা এখন থেকে ছাগলবাজার মুখী হয়ে পড়েছে। তবে প্রথম হাটে তেমন ছাগল বিক্রি হয়নি। বেচা কেনার চেয়ে দামাদামি বেশি করতে দেখা গেছেন।
জালালাবাদ তেলিপাড়ার ছাগল বিক্রেতা আবু তাহের জানান, বাজারে ৫শতাধিক বিভিন্ন জাত ও দামের ছাগল উঠে। তবে তার মতে বিক্রির পরিমাণ কম। স্থানীয় ব্যবসায়ী সোহেল জানান, ছাগল বাজারকে কেন্দ্র করে হাটবাজার দিনের অধিকাংশ সময় বাজারে যানজট দেখা দেয়। ছাগল ক্রেতা সুবাস দাশ জানান, এবারের পূঁজায় তার ইচ্ছা বড় জাতের ছাগল বলি দেয়া। কিন্তু দাম দেখে তিনি মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম। প্রথম হাটে প্রচুর চেষ্টা করেও তিনি ইচ্ছেমত ছাগল ক্রয় করতে না পারায় দুঃখবোধ করেন। তবে সচেতন মহলের মতে, ঈদগাঁও বাজারের প্রধান ডিসি সড়ক তথা পুলিশ বিটের পার্শ্ববর্তী স্থানে সড়কের উপর আড়াআড়ি করে ছাগল বিক্রি করায় হরেক রকম যানবাহন ও জন চলাচলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
You must log in to post a comment.