কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ঈদগড়ে কাঠচোরদের পেটে চলে যেতে পারে সামাজিক বনায়নের কোটি টাকার কাঠ। জানা যায়, ইতিপূর্বে ভারী বর্ষণ ও প্রচন্ড বাতাসে রামু উপজেলার ঈদগড়ে সদর বিট, তুলাতলি বিট ও বাইশারী বিটের আওতাধীন ২০০৪/২০০৫-২০০৫/২০০৬ সালসহ বিভিন্ন সালে বিভিন্ন মেয়াদী উডলক, কৃষি এবং আগর বাগান সৃজনকৃত সামাজিক বাগানের শত শত ছোট-বড় ও মাঝারী সাইজের কাঠ পড়ে গিয়ে মাটিতে পরিত্যাক্ত হিসাবে রয়েছে। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও স্থানীয় বনবিভাগ ও সামাজিক বনায়নের সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের উদাসীনতার কারনে সামাজিক বাগানে পরিত্যাক্ত হয়ে যাওয়া কাঠগুলির কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বাগানের পরিত্যাক্ত কাঠগুলি চিহ্নিতকরণ পূর্বক বিভিন্ন সাইজ করে নিলামের ব্যবস্থা করলে সব মিলিয়ে মোটা অংকের টাকা পাওয়া যাবে বলে কয়েকজন উপকারভোগী জানান। সামাজিক বনায়নের এ সম্পদ থেকে সরকারীভাবে ৫০% টাকা রাজস্ব পাবে। আর উপকারভোগীরা পাবে ৫০% রাজস্ব। খবর নিয়ে জানা গেছে, এরই মধ্যে অনেক কাঠ চোরা কারবারিরা কর্তন করে পার্শ্ববর্তী বাইশারী স’মিলে পাচার করে নিয়ে যায়। যা চিরাই করে পরবর্তী পার্বত্য এলাকার কাঠ বলে চালিয়ে দেয়। বাগানের কাঠ কর্তন ও পাচারে বনবিভাগের কিছু ভিলেজারের সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে বলেও জানা যায়।
সামাজিক বনায়নের পরিত্যাক্ত কাঠগুলি তড়িত কোন পদক্ষেপ না নিলে এ কোটি টাকার সম্পদ চিহ্নিত কাঠ চোরাকারবারিদের পেটে চলে যাবে। সরকারও হারাবে মোটা অংকের রাজস্ব। বিষয়টির ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদ্বয় ও পরিবেশ প্রেমী লোকজন।
You must be logged in to post a comment.