এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন (কেজি স্কুল)’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় সংবাদকর্মীসহ চার জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ২৩ সেপ্টেম্বর হামলার শিকার কামরুল হক চৌধুরীর স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সংবাদকর্মী কাফি আনোয়ারসহ আপন চার সহোদর রয়েছে। তবে একজন জামিনে রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে কামরুল হক চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য যে, ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঈদগাঁওয়ের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কামরুল হক চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগে জুয়েল কর্তৃক প্রতিষ্ঠাতার উপর এ হামলা চালানো হয়। একই দিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ হামলার প্রতিবাদে ঈদগাঁও বাসস্টেশনসহ বাজারের অলিগলিতে এক বিক্ষোভ মিছিল করে অত্র শিক্ষাঙ্গনের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসস্টেশন পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে। এতে করে সড়কের দু’পাশে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ খবর পেয়ে ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের দাবী-দাওয়া মেনে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরপরই অবরোধ তুলে নিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়। পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে দশ টায় স্কুল প্রাঙ্গনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাড়ে এগারটার দিকে স্কুল গেইট সংলগ্ন স্থানে বিদ্যালয়ের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকের সমন্বয়ে এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হাতে জুয়েলকে গ্রেফতারের দাবীতে নানা শ্লোগানসহকারে ফেস্টুন দেখা যায়। এছাড়াও এলাকার সর্বপেশার লোকজন মানব বন্ধনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি অতর্কিত হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
You must log in to post a comment.