সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ভ্রমণ ও পর্যটন / প্রচন্ড গরমেও দর্শণার্থীদের উপচেপড়া ভীড় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে

প্রচন্ড গরমেও দর্শণার্থীদের উপচেপড়া ভীড় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে

প্রচন্ড গরমেও দর্শণার্থীদের উপচেপড়া ভীড় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কেমুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া:

মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উত্সব পবিত্র ঈদুল-আযহার আনন্দকে আরো আনন্দময় করে তুলতে মানুষ ছুটে বেড়াচ্ছে নানান দর্শনীয় স্থানে। তন্মধ্যে দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠা পাওয়া কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক টানা তিনদিন ধরে পর্যটকে ঠাসা। ঈদের দিন থেকে প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে দর্শণার্থীরা উপভোগ করছে বাড়তি আনন্দ।

স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের শহুরে এলাকা ছাড়াও বিদেশী অনেক পর্যটকও বৈচিত্রময় ও প্রায় বিলুপ্ত পশু-পাখি দেখতে ভিড় করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। প্রতিদিন কম করে হলেও ৮ থেকে ১০ হাজার দর্শনার্থীর পা পড়ছে সাফারি পার্কে। ঈদের পরদিন থেকে পার্কে এই অবস্থা বিরাজ করছে। ঈদ উপলক্ষ্যে পার্কে নতুন করে কোন বন্যপ্রাণী আনা না হলেও আগত দর্শনার্থীদের বেশ আকৃষ্ট করেছে পার্কে প্রবেশের প্রধান গেইটের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ভাষ্কর্যটি।

সোমবার দুপুরে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সাফারি পার্কে পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ভ্রমণের জন্য পর্যটক ও দর্শনার্থীরা পার্কে ভিড় জমাচ্ছে। পার্কে দেখার মতো রয়েছে- বাঘ, সিংহ, উল্টো লেজী বানর, লাম চিতা, হনুমান, উল্লুক, কালো শিয়াল, জলহস্তী, ওয়াইল্ডবিষ্ট, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, প্যারা হরিণ, মিঠা পানির কুমির, মঁয়ূর, বনমোরগ, বন্য শুকর, বানরসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণী।

পার্কে আগত দর্শণার্থীরা মনের আনন্দে ঘুরে ঘুরে দেখছেন এসব বন্যপ্রাণীর বেষ্টনী। কর্তৃপক্ষ পার্কটিকে দর্শনার্র্থীদের কাছে আগের তুলনায় আরো আকর্ষনীয় করে তুলেছে। পার্কে আরো আর্কষনীয় করে তুলতে পার্কে বাইরে করা হয়ে লেক, পিকনিক শেড, লেকের উপর নির্মিত সেতু, মহিলাদের রেস্ট হাউজসহ নানা স্থাপনা।

দর্শণার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগ যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীর আধিক্যই ছিল বেশি। তারা বন্যপ্রাণী দেখার পাশাপাশি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মনের সুখে উপভোগ করছেন নান্দনিক বৃক্ষ রাজির ফাঁকে ফাঁকে উন্মুক্ত বিচরণ করা হরিণ, খরগোস। কেউ কেউ টাওয়ারে উঠে দূর-দুরান্ত দেখছে, আবার কেউ হাতিতে চড়ে মনের জিইয়ে রাখা শখ মিটিয়ে নিচ্ছে। বেশিরভাগ দর্শনার্থী ও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ছিল ময়ূর, ইমু পাখী, বাঘ ও সিংহ এবং জলহস্তীর বেষ্টনী।

সাফারি পার্ক সূত্র জানায়, ঈদের পরদিন সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত পার্কে দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম হয়েছিল। পার্কের প্রধান গেইটের বাইরে নির্মিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিশাল ম্যুরাল ও ভাস্কর্যটি ছিল দর্শনার্থীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়।

পার্কের কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঈদের দিন বিকাল থেকে প্রচন্ড গরমের মাঝেও পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভীড় বাড়তে থাকে। যা আরও বেশ কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি জানান, ঈদের পরদিন থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত অন্তত লক্ষাধিক দর্শনার্থী ও পর্যটকদের পদভারে মুখরিত ছিল পার্ক এলাকা। এ রকম অবস্থা আরো কয়েকদিন অব্যহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স এর সৌন্দর্য হাতছানি দিচ্ছে, #https://coxview.com/tourism-lama-mirinja-rafiq-20-09-2023-00/

মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স এর সৌন্দর্য হাতছানি দিচ্ছে

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান গুলোর অন্যতম বান্দরবানের লামার ‘মিরিঞ্জা ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/