অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:
শিউলি ফোঁটার গন্ধ ভরিয়ে,
ভোরের ঘাসের শিশির ছড়িয়ে,
বদলে যাওয়া মেঘে শরতের আগমনী গানের সময় এটা। কিন্তু প্রকৃতি শরতের শুভ্রতা এমন দাবদাহে ভরিয়ে দিয়েছে যে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি আর ক্লান্তি। এরই মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চার পাশ অন্ধকার হয়ে হঠাৎ ফাঁপা জনমন ভিজিয়ে দিল প্রশান্তির বৃষ্টি।
কক্সবাজারে প্রায় সপ্তাহ ধরে অব্যাহত দাবদাহে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছিল।
প্রচণ্ড খরতাপে হাঁপিয়ে উঠেছিল কক্সবাজার শহর সহ গোটা জেলার মানুষ। ঘরে-বাইরে কোথাও এমনকি শহরের পথে-ঘাটেও ছিলনা এতটুকু প্রশান্তির আবেশ। আগুনের হলকার মত গরম বাতাসে ঝলসে যাচ্ছিল নাগরিক জীবন। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সকলেই কুপোকাত হয়ে পড়েছিল। প্রচণ্ড গরম এবং ঘন ঘন বৈদ্যুতিক লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে রাতে মানুষ ঘুমাতে পারতো না।
ফলে ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে দমকা হাওয়ার সাথে সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি বইতে শুরু হওয়ায় জনমনে প্রশান্তির সুবাতাস বয়ে যায়।
স্থানীয় অধিবাসী একরামুল হক কন্ট্রাক্টর জানান, অব্যাহত পানি সংকট ও অত্যধিক গরমের কারণে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। বৃষ্টিপাত হওয়ায় মনে হচ্ছে তারা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছি।
কক্সবাজার শহরের একাধিক রিক্সা চালক জানান, দুপুরের তালপাকা রোদ আর প্রচন্ড গরমে রাস্তায় গাড়ি চালানো সম্ভব ছিলনা। কিন্তু গাড়ি না চালালে তো না খেয়ে মরতে হবে। তাই পেটের দায়ে অসহ্য গরমের মধ্যেও অনেক কষ্টে গাড়ি চালাচ্ছি।
শুক্রবার সন্ধ্যার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আমাদের মনে প্রশান্তি এনে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরাও জানান একই কথা। দুপুর হলে অসহ্য গরমে দোকানে বসা যায় না। তাই এই বৃষ্টি আল্লাহর রহমত হিসাবে এসেছে।
You must be logged in to post a comment.