অনলাইন ডেস্ক :
দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তার ওপর পবিত্র রমজান মাস। এ সময় পানির পিপাসায় অনেকেই অস্থির হয়ে পড়ছেন। এমন আবহাওয়ায় এক গ্লাস শীতল পানির আবেদন উপেক্ষা করা যেন অসম্ভব!
ঠান্ডা পানি পান করলে অনুনাসিক মিউকাস ঘন হয় ও শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গবেষকরা দেখেছেন, চিকেন স্যুপ বা গরম পানি মানুষকে আরও সহজে শ্বাস নিতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি সর্দি বা কাশির সমস্যায় ভোগেন তাহলে ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
শরীরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা সম্ভব না হলে হজমে সমস্যা বা হজমজনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরমের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রার বিপরীত প্রতিক্রিয়া ক্যান্সার রোগের অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ইফতারিতে বা খাওয়ার পর ঠান্ডা পানি পান মারাত্মক ক্ষতির কারণ। এতে শ্বাসনালীতে ম্লেষ্মার অতিরিক্ত আস্তরণ সৃষ্টি হয়। ফলে শ্বাসতন্ত্র কার্যকারিতা হারায়।’
ইফতারের পর অনেকে ফ্রিজ থেকে সরাসরি ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা পানীয় পান করেন। গরমে এভাবে পানি পান করা একদমই উচিত না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানের ফলে দাঁতের ভেগাস নার্ভের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে দুর্বল করে দেয়।’
ভেগাস স্নায়ু হলো মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানের ফলে ভেগাস স্নায়ু উদ্দীপত হয়। এতে হৃদগতি হঠাৎ করেই কমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে।
রোজা রেখে ইফতারের পর, শরীরচর্চা বা ওয়ার্কআউটের পর কখনোই ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়। ওয়ার্কআউটের পর শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই তাৎক্ষণিক বেড়ে যায়। এই সময় সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি পানের ফলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য বজায় রাখা সম্ভব হয় না।
অনেকেই বলেন ঠাণ্ডা পানি পানের ফলে ক্যালরি বার্ণ হয়। কীভাবে ক্যালরি বার্ণ হয়? পরিপাকতন্ত্রের উপর চাপ পড়ার ফলে তাকে বাড়তি কাজ করতে হয়। যে কারণে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালরি বার্ণ হয়।
কিন্তু ক্যালরি বার্ণ করার জন্য এটা মোটেও স্বাস্থ্যকর কোন উপায় নয়। যদি ক্যালরি বার্ণ করার প্রয়োজন হয়, তবে শরীরচর্চা করতে হবে। কিন্তু ঠাণ্ডা পানি পান করা এড়িয়ে যেতে হবে যথাসম্ভব।
You must be logged in to post a comment.