মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া:
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালীতে বিয়ের পর আট মাস অতিবাহিত না হতেই গৃহবধূ জেসমিন আক্তারের (২১) মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ওই গৃহবধূর মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে বলাবলি হচ্ছে এলাকায়।
১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে ওই গৃহবধূ শ্বশুর বাড়ীতে মারা যায়। সন্ধ্যায় লাশ আনতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে মরদেহ নিয়ে পুলিশের টানাটানি হয়। এতে মৃত্যু রহস্য নিয়ে আরো ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে আট মাস পূর্বে টুটিয়াখালীর জেসমিন আক্তারের সাথে বিয়ে হয় নিকটবর্তী দাতিনাখালীর মোঃ সরোয়ারের সাথে। এখনো বিয়ের পর আট মাসও অতিবাহিত হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুর বাড়ীর একটি কক্ষে রশি টাঙ্গিয়ে ফাঁস খেয়ে আত্মহত্যা করে জেসমিন। এ বক্তব্য শ্বাশুড়ি নুর নাহারসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন দিলেও সন্ধ্যা ৬টায় থানা পুলিশ মরদেহ পায় ঘরের কক্ষে মাটিতে। জেসমিনের বাবা কালু মিয়া সকালে তার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন হত্যা করেছে দাবী করলেও রাত ৮টায় তার মেয়ের মৃত্যু নিয়ে কোন কথাই বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ বলেন, ওই মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। কোন কারন ছাড়াই আত্মহত্যা করেছে।
লাশ উদ্ধার করা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বলেন, বিলম্বে মৃত্যু সংবাদ পাই। সন্ধ্যা ৬টায় মরদেহ উদ্ধার করতে গেলে আত্মীয়সহ প্রভাবশালীরা বাধা দেয়। ওসি মুঠোফোনে চেয়ারম্যানকে মরদেহ দিতে বলায় গৃহবধূর লাশ থানায় আনতে পেরেছি। শ্বশুর বাড়ী ও বাবার বাড়ীর লোকজনের রহস্যজনক আচরণে মনে হচ্ছে কোন কিছু ঘটলেও দু’পক্ষ আপোষরফা করেছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, শ্বশুর বাড়ীতে মারা যাওয়ায় জেসমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
You must log in to post a comment.