সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / উখিয়া সমুদ্র উপকূলের সবুজ বেষ্টনী বিলুপ্তির পথে

উখিয়া সমুদ্র উপকূলের সবুজ বেষ্টনী বিলুপ্তির পথে

উখিয়া সমুদ্র উপকূলের সবুজ বেষ্টনী বিলুপ্তির পথে

উখিয়া সমুদ্র উপকূলের সবুজ বেষ্টনী বিলুপ্তির পথে

অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:

কক্সবাজারের উখিয়া উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগর তীর ঘেষে প্রায় দীর্ঘ ২৭ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত এলাকা। এ এলাকায় বিস্তৃর্ণ সবুজ বেষ্টনী (ঝাউবীথি) সংঘবদ্ধ কাঠচোর সন্ত্রাসীদের হাতে দিনদিন লুটপাটের পাশাপাশি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাছে। বিভিন্ন সময় সমুদ্রের প্রচন্ড জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে উপকূল তীর ও জনপথ ভাঙনরোধে সৃজিত ঝাউ বাগান উজাড় করে চলছে।

উপকূলীয় বনবিভাগের তৎপরতা না থাকলেও কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ অনেক ক্ষেত্রে দেখেও না দেখার ভান করে। সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ ওই সব কাঠচোরদের সনাক্ত করার পরও কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জলবায়ুর বিরোপ প্রভাবে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দূর্যোগ, নদী ভাঙন ও মানুষের অত্যাচার সহ নানা কারনে ধ্বংস হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে বনবিভাগের সহায়তায় গড়ে তোলা হয় সবুজ বেষ্টনী। এসব ঝাউবীথি বিলুপ্ত হওয়ার কারনে হুমকীর মুখে পড়েছে প্রাণী ও জীব বৈচিত্র।

অভিজ্ঞ প্রতিবেশবাদীদের অভিমত উপকূল অঞ্চলের সবুজ বেষ্টনী রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশংকায় পড়তে পারে উপকূলে বসবাসকারী ২৫হাজার পরিবার।

জানা গেছে, উখিয়া উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন উপকূলের গাছপালা মরে যাচ্ছে। নদী ভাঙনেও গাছপালা বিলীন হচ্ছে। এছাড়া এক শ্রেণীর অসাধু কাঠ চোররা সংরক্ষিত বনাঞ্চল উজাড় করতে তৎপর রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় চোয়াংখালী এলাকার কয়েক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় চিহ্নিত ১০/১২জন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে রাতে আধারে এসব ঝাউবীথি উজাড় করে চলেছে।

এ প্রসংগে জানতে চাইলে বিট কর্মকর্তা বলেন, অবশ্যই কাট পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব এতে কোন সন্দেহ নেই।

ইনানী সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার একরামুল হক কন্ট্রাক্টর বলেন, সাগরের অতিরিক্ত লোনা পানি ও বালু এসে গাছের গোড়াই আটকা পড়ে। এতে নারিকেল গাছ সহ বিভিন্ন জাতের গাছ মারা যাচ্ছে। শুধু যে গাছ মারা যাচ্ছে তা নয়, একই সাথে উপকূল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। কমে যাচ্ছে নদী ও সাগরের মাছ।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উচিত নতুন প্রজাতির গাছ আবিষ্কার করা। যা পরিবেশের সাথে মোকাবেলা করে বেঁচে থাকতে পারে। পাশাপাশি গাছ নিধন ও পোড়ানো বন্ধ করতে হবে।

উপকূলীয় বনাঞ্চল সহ গ্রাম বাংলার রূপ বৈচিত্র সংরক্ষণ করতে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এতে ব্যর্থ হলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। যা মানুষ অন্যান্য প্রাণীকূল সহ সম্পদের বড় ধরনের ক্ষতি কারন হবে।

প্রকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় উপকূলীয় অঞ্চলের সুশীল সমাজ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে ঝাউবীথি উজাড় হলে করার কিছু নেই। তবে কাঠ পাচারকারীদের কারনে যদি কোন ক্ষতি হয় তাহলে অবশ্যই ওইসব কাঠ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা রুজু করা হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/