এম.আবদুল্লাহ আনসারী, পেকুয়া
কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা থেকে কাজীমার্কেট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে জনদূর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌছেছে।
স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুই বছর আগে ওই সড়কটি কার্পেটিং করা হলেও বর্তমানে সড়কটি খানা খন্দকে ভরে গিয়ে কংক্রিট আর মাটি একাকার হয়ে গেছে। এসড়ক দিয়ে এক সময় বাস, ট্রাক, সিএনজি, রিক্সা, মাইক্রোসহ বিভিন্ন গাড়ী চলাচল করলেও বর্তমানে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল করছে চরম ঝুকিপূর্ণভাবে। কোন রকম সিএনজি, মাহিন্দ্রা গাড়ী চলাচল করছে থেমে থেমে কখনো যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পুকুরসম গর্ত পার করে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ মাত্রাতিরিক্ত নষ্ট হয়ে যাওয়া সড়কে যান চলাচল করতে গিয়ে সড়ক আরো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আর ওই গাড়ীগুলির যন্ত্রাংশ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক এক সময় ওই সড়কটি কার্পেটিং করা হলেও বর্তমানে লবণের ট্রাক আসা-যাওয়ার কারণে রাস্তার এ পরিনতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে লবণবাহী ট্রাকে রাস্তাটির অবস্থা নাজুক করে ফেলেছে।
এদিকে রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল মোস্তফা চৌধুরী রাস্তার খানা খন্দকে ইটের গুড়ি দিয়েছেন। ওই ইটের গুড়ি দেওয়ার কারনে লোকজন কোন রকম হেটে চলাচল করতে সক্ষম হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, রাস্তার নাজুক অবস্থা হওয়ার কারনে ওই রাস্তা দিয়ে একজন মুমূর্ষু রোগী চকরিয়া কিংবা চট্টগ্রামে নেওয়া দারুণ কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে।
এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী হারু কুমার পাল জানান, ওই রাস্তা উন্নয়নের জন্য জরুরীভাবে তালিকা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। তাছাড়া এর পূর্বেও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন দপ্তরে রাস্তা উন্নয়নের জন্য তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। যদি সরকারী ভাবে বরাদ্দ আসে তাহলে জরুরী ভাবে উক্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়াত আজিজ রাজু জানান, উক্ত রাস্তা উন্নয়ন বরাদ্দে জন্য বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারী ভাবে বরাদ্দ না আসা পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
You must be logged in to post a comment.