চলাচলের সড়ক দখল ও কালভার্ট ভরাট করে নির্মাণ হচ্ছে পোল্ট্রি খামার ঘর। পানি চলাচলের বিশাল অংশে নির্মাণ করা হয়ে সীমানা দেয়াল। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগ থেকে এভাবে সড়ক ও কালভার্ট দখলের কারনে বিশাল এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এ কারনে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর সময় কাটিয়েছে শত শত মানুষ। বর্ষার শেষ মুহূর্তে ওই এলাকাটিতে পানি জমে থাকায় বিপুল জমিতে চাষাবাদ নিয়েও শংকায় রয়েছেন কৃষকরা। ঘটনাটি ঘটেছে, কক্সবাজাের জেলার রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের মধ্যম নোনাছড়ি এলাকায়।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক ও জলাবদ্ধতার শিকার এলাকাবাসী ৯ আগষ্ট রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে অভিযুক্ত নুরুল আমিন লোদা ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালুর ছেলে।
জলাবদ্ধতার শিকার এলাকার কৃষক মোবারক আহমদ, মো. হোছাইন, আবু শামা, আবদুল আলিম জানিয়েছেন, নুরুল আমিন লোদা দীর্ঘদিনের লোকজনের চলাচলের রাস্তা, পানি চলাচলের কালভার্ট এবং খাস জমি দখল করে ৫/৬ মাস পূর্বে মুরগীর খামার ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেন। ওইসময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং এলাকাবাসী তাকে বাঁধা দিলেও তিনি কর্ণপাত না করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান। এমনকি ওই স্থানে সরকারিভাবে দেয়া কালভার্টটি ভেঙ্গে সেই গর্ত মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলেন তিনি। দখল করা সড়কের উপর তৈরী করেছেন সীমানা দেয়াল। এভাবে রাস্তা ও খাস জমি জবর দখল করে স্থাপনা নির্মাণের কারনে চলতি বর্ষা মৌসুমে ৫ শত পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় পানি জমে থাকায় আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। অনতিবিলম্বে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা না নিলে প্রায় ২০ একরের বেশী জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোকতার আহমদ, রাস্তা ও কালভার্ট দখল করায় জলাবদ্ধতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি নির্মাণ কাজ বন্ধ করেননি।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন লিখিত অভিযোগটি তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
You must be logged in to post a comment.