এম.বেদারুল আলম, কক্সভিউ:
৩ দফা বন্যা বন্যার ক্ষতির পর জেলায় কৃষকরা কোনমতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। অনেক কষ্টে চারা যোগাড় করে চড়া দামে চারা কিনে চাষ করা রোপা আমনে পোকার আক্রমণ লালচে রোগে দিশেহারা ৩ লক্ষাধিক কৃষক। অনেকে কান্না জুড়ে দিয়েছে।
পিএমখালীর মাছুয়াখালীর কৃষক বশির আহমেদ বলেন বর্গায় চাষ করেছি। ৩ বার চারা রোপনের পর এখন নতুন যন্ত্রণা গুনগুনি রোগ ও চারা লালচে রোগ। কয়েকদিনে ২ কানি জমির বেশির ভাগ লাল হয়ে পঁচে যাচ্ছে। কৃষক আবদুল করিম বলেন ৩ একর আমন চাষ করেছি। গত ২ দিনে জমিতে ডিগমরা রোগে এবং গুনগুনি রোগে বেশিরভাগ রোপা আমন মরে গেছে। ৫ হাজার টাকার কীটনাশক এনেছি। এমনিতে বন্যায় ক্ষতি উপরন্তু রোপায় পচন। হয়ত এই মওসুমের পর আর চাষ করব না। কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ মেনে প্রতিবছর চাষ করেন কৃষক কামাল হোসেন। পোকার আক্রমণের খুটিনাটি চিকিত্সা সম্পর্কে জানলেও এবার হঠাত্ চারা লালচে এবং গুনগুনির আক্রমণে হতভস্ব তিনিও। বন্যার পর পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষকরা। বিশেষ করে সদরের পিএমখালী ঝিলংজা, ভারুয়াখালী, ঈদগাঁও, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডীতে গুনগুনি পোকার আক্রমণ বেড়ে গেছে। রামুতে চাকমারকুল, রাজারকুল, ফতেখাঁরকুল, মিঠাছড়ি, গজনীয়াসহ দুই-তৃতীয়াংশ এলাকায় হঠাত্ করে রোপা আমনের রোগ বৃদ্ধির কারণে আমন মওসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে। বিশেষ করে বন্যা পরবর্তী জমিকতে বালাই দমনের কোন পরামর্শ পায়নি কৃষকরা।
এছাড়া চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়ায়, ডিগমরা রোগ, রোপা লালচে রং হওয়া ও গুনগুনি পোকার আক্রমণ বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষকদের অভিযোগের পর পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসে মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি অবহিত করলে কৃষি অফিস থেকে রোপা আমন বাঁচাতে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ লোকমান হাকিম পরামর্শ দেন কৃষকরা যেন কানি প্রতি দেড়শ গ্রাম মিপসিন পাউডার পানির সাথে মিশে রোপা আমনে স্প্রে করতে হবে। সাতে ‘হেক্সাকুনাজল’ কিংবা ‘এসাটপ’ ব্যবহার করলে গুনগুনি রোগ সহজে সেরে যাবে। এ বছর আমন মওসুমে জেলায় ৭৮ হাজার ৮শ ১৩ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
এদের মধ্যে হাইব্রীড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক রোপা আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হল চকরিয়ায় ১৯৫৪০ হেক্টর, পেকুয়ায় ৮৫৫০ হেক্টর, রামুতে ৯৭০০ হেক্টর, সদরে ৯২০০ হেক্টর, উখিয়ায় ৯০০০ হেক্টর, টেকনাফে ১০৮১৮ হেক্টর, মহেশখালীতে ৮১০০ হেক্টর, কুতুবদিয়ায় ৩৯০৫ হেক্টর।
You must be logged in to post a comment.