হামিদুল হক; ঈদগড় :
কক্সবাজার জেলার ঈদগড়ে বন্য হাতির উপদ্রব আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। হাতির উত্পাতে শত শত মানুষ ভীত, শন্ত্রস্থ। বন্য হাতি কখন কার ঘরে হামলা চালায় এ নিয়ে সবাই শংকিত। বন্য হাতি আগে রাতের অন্ধকারে লোকালয়ে আসত। কিন্তু এখন তারা সন্ধ্যায় এবং দিনেও লোকালয়ে এসে বসতবাড়ী ও ক্ষেত খামারে হামলা চালাচ্ছে। এতে মানুষ আরো বেশি আতঙ্কিত। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্য হাতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। বন্য হাতির বিচরণ বেশি দেখা যায়- হাসনা কাটা, করলিয়া মুরা, ছগিরা কাটা, বউঘাটা, উপরের খিল ও ধুমছা কাটাসহ বিভিন্নএলাকায় বন্য হাতি অবাধে ঘুরে বেড়ায়। বন্য হাতির হামলায় কয়েক বছরে ১০ জনের অধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
কয়েকদিন আগেও ঈদগড় হাসনা কাটা এলাকায় বসতবাড়ীতে বন্য হাতির আক্রমণের শিকার এক গৃহকত্রীর মৃত্যু হয়। বন্য হাতির বিষয়ে স্থানীয় বন কর্মকর্তা বলেন, বন্য হাতি তাড়ানোর সঠিক কোন ব্যবস্থা নেই। বন্য হাতি কেন লোকালয়ে আসে জানতে চাইলে বনবিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, বন্য হাতি কখনো লোকালয়ে যায় না। বরং মানুষই বন্য হাতির জায়গায় যাতায়াত করছে। হাতির বিচরণ ক্ষেত্রে মানুষ ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে। বনজঙ্গল উজাড় করে দিয়েছে। বনে কোন পশুখাদ্য নেই। আগে পাহাড়ে বিপুল পরিমাণ বন্য গাছ-গাছালি ছিল। হাতি এগুলো খেতো। এখন খাবারের সন্ধানে হাতি যেখানে পাচ্ছে ছুটে বেড়াচ্ছে। বনে যদি পর্যাপ্ত খাবার পেতো, তাহলে বন্য হাতি লোকালয়ে আসত না।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রায় সময় বন্য হাতির দল বিভিন্ন ক্ষেত মৌসুমে ক্ষেত খামারে হামলা চালিয়ে ক্ষতি সাধিত করে। অনেক সময় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পড়ে মারা যাচ্ছে বন্য হাতি। গত ২ মাস আগে পশ্চিম হাসনাকাটা এলাকায় লোকালয়ে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে একটি বন্য হাতি মারা যায়।
You must be logged in to post a comment.