আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে

রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলনকারীদের অবস্থান।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলতে সচিবালয়ে যাচ্ছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের একটি প্রতিনিধিদল।

২০ সদস্যের এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।

৯ এপ্রিল সোমবার বেলা ৩টার দিকে রওনা দেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসান আল মামুন প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমরা ফিরে না আসা পযর্ন্ত রাজু ভাস্কর্যেই আন্দোলনকারীরা থাকবে। পরে এসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুল ইসলাম দাবি করেন, শাহবাগ এলাকা থেকে তাদের ৪০ জন আন্দোলনকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা দেন, আটক সব শিক্ষার্থীকে দুপুরের মধ্যে না ছাড়লে বিকেল ৩টা থেকে ফের শাহবাগ অবরোধ করা হবে।

৮ এপ্রিল রবিবার কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।আন্দোলনকারীদের হটানোর জন্য রাত ৮টার দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিচার্জ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর শুরু হয় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

এ ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শাহবাগ-টিএসসি এলাকা। রাত দেড়টার পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

সেসময় জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও জানান, বিষয়টির সুরাহা করতে ৯ এপ্রিল সোমবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আলোচনায় বসবেন।

সূত্র:ইরফান এইচ সায়েম-priyo.com;ডেস্ক।