গত সপ্তাহটি ছিল যুক্তরাজ্যের জাতীয় চক্ষু স্বাস্থ্য সপ্তাহ। চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অপটিক্যাল এক্সপ্রেস নামের একটি কোম্পানি সহজ একটি রঙের পরীক্ষা প্রকাশ করে। এতে নীল ও সবুজ রঙের মাঝে পার্থক্য করতে বলা হয়। অবাক হলেও সত্যি, অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না কোন রংটি নীল আর কোনটি সবুজ।
এই পরীক্ষায় পাঁচটি রং পাশাপাশি প্রকাশ করা হয় এবং এর মাঝে কোন রংগুলো নীল ও কোনগুলো সবুজ তা নির্ণয় করতে বলা হয়।
প্রথমেই জেনে রাখুন, একটি রংই একেক জনের কাছে একেক রকম লাগতে পারে। আপনি একটি রংকে সবুজ বলছেন, আপনার বন্ধু বলছে নীল- তাহলেও চিন্তিত হবার কিছু নেই। তারমানে এই নয় যে আপনি বর্ণান্ধ বা আপনার চোখে কোনো সমস্যা আছে। পুরো বিষয়টাই আমাদের মস্তিষ্কের ওপর নির্ভর করে।
অপটিক্যাল এক্সপ্রেসের ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিরেক্টর স্টিফেন হানান জানান, আলো চোখে প্রবেশ করে রেটিনার ওপর পড়ে, যা কিনা চোখের পেছন দিকের আলোক-সংবেদী কলা। এই আলো রেটিনা থেকে ইলেকট্রিক সিগন্যালে রূপান্তরিত হয় ও অপটিক্যাল নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কের ভিজুয়াল কর্টেক্সে যায়। সেখান থেকেই মস্তিষ্ক বুঝে নেয় রংটা আসলে কী। একেক জনের মস্তিষ্ক একেক ভাবে রংটাকে দেখতে পারে।
তবে একদম চুলচেরা হিসেব করলে বলে দেওয়া যায় কোন রংটি আসলে কী। আরজিবি স্পেকট্রাম, অর্থাৎ একটি রঙের মাঝে কতখানি লাল, কতখানি সবুজ আর কতখানি নীল আছে, তা থেকে বোঝা যায় রংটি আসলে সবুজ নাকি নীল।
এই ৫টি রং বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রথম রংটি নীল, দ্বিতিয়টি সবুজ, তৃতীয়টি নীল, চতুর্থটি সবুজ এবং সব শেষেরটিও সবুজ। অনেকেই চতুর্থ রংটি নিয়ে সন্দেহে পড়ে যাবেন। কেউ নিঃসন্দেহে একে নীল বলে দেবেন, কেউ একটু ভেবে বলতে পারেন এটা সবুজ। এই রংটির নাম ‘টিফানি ব্লু’, যদিও রংটি আসলে সবুজের কাতারে পড়ে।
সূত্র:কে এন দেয়া-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.