অজিত কুমার দাশ হিমু; কক্সভিউ :
লাখো মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত। তাবলিগ-জামাত এর উদ্যোগে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে আয়োজিত ৩দিনের ইজতেমা সমাপনি দিনে শনিবার ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিয়েছে। আখেরি মোনাজাতে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ করা হয় এ ইজতেমা। সমাপনি দিনে মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বিন মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টের দক্ষিণ পার্শ্বে ঝাউবন এলাকায় ১৭ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই ইজতেমায় সারা দেশ থেকে ছুটে আসেন লাখো মুসল্লি। বিদেশী মেহমানও ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার নামাজ-ওয়াজ-যিকির ও মোনাজাতের মাধ্যমে ইবাদতে মগ্ন থাকেন সমাবেত মুসল্লিরা। শুক্রবার জুমার সময় অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ কালের বৃহত্তম জুমার জামাত। শুক্রবার সন্ধায় ও রাতে বৃষ্টিজনিত ঠান্ডা আবহাওয়ায় কিছুটা ছন্দপতন ঘটলেও শনিবার সকাল থেকে আখেরী মোনাজাতের জন্য প্রস্তুতি নেন সবাই।
কক্সবাজার শহর ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোনাজাতে শরিক হতে ছুটে যান লাখো মুসলি।
সরে জমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টার মধ্যে আখেরি মুনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লি দ্বারা পুরো ইজতেমা ময়দান ও চারপাশ এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন কাকরাইলের শীর্ষ আলেমগণ ও মুরব্বীগণ। শেষ দিনের আম ও খাসবয়ানে মুরব্বিরা দ্বীনের দাওয়াত, মেহনত, তাবলিগের উদ্দেশ্য, আগামী এক বছরের করণীয় এবং নতুন জামাতের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন। আলেমেদ্বীনরা বলেন, মানুষের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে দ্বীনের দাওয়াতে ব্যস্ত থাকা। দ্বীনের মেহনত মূলত প্রতিটি মানুষের প্রকৃত কাজ। এ কাজ নবীওয়ালা কাজ। মেহনতের মাধ্যমে দিল জিন্দা করা যায়। যে যত বেশি মেহনত করবে, সে তত বেশি কামিয়াব হাসিল করবে। দুনিয়া হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী। দুনিয়াকে কেউ যদি স্থায়ী ঠিকানা মনে করে তাহলে ভুল হবে। দুনিয়াই থেকে আখেরাতের বাণিজ্য করে নিতে হবে। আল্লাহর তরিকা অনুসারে জীবন চালাতে হবে। দুপুর পৌঁনে বারটায় মোনাজাত শুরু করেন তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি মৌলানা মোহাম্মদ হোছাইন। মোনাজাতে দেশ-জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। প্রায় আধ ঘন্টা ব্যাপী চলে মোনাজাত। এ সময় অশ্রু সজল চোখে লাখো মুসলির কণ্ঠের আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় ইজতেমা প্রাঙ্গন।
প্রসঙ্গত, ৩ দিনের দিনের ইজতেমা ১৭ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১৯ ডিসেম্বর আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। এটি ২য়’বারের আয়োজন। এতে কক্সবাজার জেলা ছাড়াও সারা দেশের উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
You must be logged in to post a comment.