সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ক্রীড়া / আরেকটি ইনিংস জয়ে ৪-০ করল অস্ট্রেলিয়া

আরেকটি ইনিংস জয়ে ৪-০ করল অস্ট্রেলিয়া

মেলবোর্নের বাজে পিচে ড্রয়ের পরই ৫-০ হোয়াইটওয়াশ এড়ানো নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। তবে অস্ট্রেলিয়ার ৪-০ তে সিরিজ জয় আটকাতে পারল না ইংলিশরা। জো রুটের দলের বেদনাবহ অ্যাশেজ সিরিজ শেষ হলো আরেকটি বড় হারে। সিডনি টেস্টে ইংল্যান্ডকে ইনিংস ও ১২৩ রানে হারিয়ে ৪-০ তে সিরিজ শেষ করেছে স্টিভ স্মিথের দল।

এবারের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার চার জয়ের দুটিই ইনিংস ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৯৪-৯৫ সালের পর এই প্রথম অ্যাশেজের পাঁচ টেস্টই পঞ্চম দিন পর্যন্ত গেল। যেখানে আধিপত্যটা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ায় আবার অ্যাশেজ ফিরবে ২০২১ সালে। এর আগে ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে অ্যাশেজ ট্রফি পুনরুদ্ধারের সুযোগ পাচ্ছে ইংল্যান্ড।

চতুর্থ দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৯৩ রান। অস্ট্রেলিয়াকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে আজ শেষ দিনে ২১০ রান করতে হতো ইংলিশদের। সফরকারীদের একমাত্র আশা ছিল জো রুটকে নিয়ে। চতুর্থ দিন শেষে অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। কিন্তু রুট আজ দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়েই নামতে পারেননি।

পানিশূন্যতায় সকালে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল রুটকে। খেলা শুরুর আগে মাঠে ফিরে আসেন। তবে দেরি হওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে দিনের খেলা শুরু করেন মঈন আলী।

দুজন প্রায় এক ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছিলেন। মঈনকে (১৩) এলবিডব্লিউ করে জুটি ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান লায়ন। সিরিজে মঈনকে এ নিয়ে সাতবার আউট করলেন লায়ন। তাতে তিনি স্পর্শ করলেন বিশ্ব রেকর্ড। একক কোনো সিরিজে একই ব্যাটসম্যানকে সর্বোচ্চ সাতবার আউট করেছেন আরো চারজন- অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা, জিওফ লসন, ক্লারি গ্রিমেট ও ইংল্যান্ডের ব্রায়ান স্ট্যাথাম।

মঈনের বিদায়ের পরই উইকেটে আসেন রুট। তবে নিয়মিত বিরতিতেই পানি পান করতে হয়েছে তাকে। সিরিজে নিজের পঞ্চম ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন। তবে লাঞ্চের পর আর ক্রিজে ফেরেননি। ৫৮ রান নিয়ে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ থাকতে হয় রুটকে।

অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডার আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল। প্যাট কামিন্সের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৩৮ রান করেন বেয়ারস্টো। এরপর স্টুয়ার্ট ব্রড ও ম্যাসন ক্রেইন দ্রুতই ফেরেন, দুজনই কামিন্সের বলে উইকেটকিপার টিম পাইনকে ক্যাচ দিয়েছেন।

আর অ্যান্ডারসনকে পাইনের ক্যাচ বানিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসের ইতি টানেন জশ হ্যাজেলউড। অ্যান্ডারসন রিভিউ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের নির্ধারিত রিভিউ শেষ হয়ে গেছে আগেই! স্থানীয় সময় ২টার পরপরই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে ১৮০ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট পেয়েছেন কামিন্স। ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনিই। সিরিজ সেরা হয়েছেন স্মিথ। সিরিজে তার রান ৬৮৭, যা ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ডেভিড মালানের চেয়ে ৩০০’র বেশি!

 

সূত্র:globetodaybd.com;ডেস্ক।

 

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদকে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/