সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / প্রাকৃতিক ও পরিবেশ / কনকনে শীতে কাঁপছে টেকনাফবাসী

কনকনে শীতে কাঁপছে টেকনাফবাসী

গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

টেকনাফ উপজেলার জনগণ শৈত্য প্রবাহের কবলে। চারিদিকে বইছে হিমেল হাওয়া, এতে বিপাকে পড়েছে গরীব, দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ছোট বড় সবার মাঝে প্রচন্ড শীতের কন কনে কাঁপন দেখা দিয়েছে ৭ জানুয়ারী দুপুর ২ টা থেকে।

বিভিন্ন গ্রাম থেকে টেকনাফ পৌর শহরে আসা অনেক বয়স্ক লোক অভিমত প্রকাশ করে বলেন, ৬ জানুয়ারী গভীর রাত থেকে ভয়াবহ শৈত্য প্রবাহের হিমেল বাতাস বইতে শুরু করেছে। এতে প্রচন্ড শীতের কবলে পড়েছে টেকনাফবাসী। তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। শীতের কাঁপনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষের জীবন যাত্রা।

এধরনের শীত গত ৪০/৫০ বছরে দেখা নাই। অন্য যে কোন সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বেশি শীত পড়লেও টেকনাফের মানুষ কখনো এধরনের শীতের কবলে পড়েনি। অতিরিক্ত শীতের কারণে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের পেশাগত কাজে যোগ দিতে হচ্ছে দেরিতে। এই প্রচন্ড শীত অব্যাহত থাকলে বছরের শুরুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগমন কমে আসবে।

টেকনাফের বিভিন্ন জায়গায় খবর নিয়ে জানা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র শীতের প্রকোপে গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগ। ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া রোগে ভুগছে বেশির ভাগ শিশুরা।

ঘন কুয়াশার কারণে বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রকার শাক-সব্জি ও বীজতলাগুলো। তার পাশাপাশি সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবি, হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা। প্রচন্ড শীতে তাদের বেড়ে গেছে চরম দুঃখ দুর্দশা।

কারণ, তারা সময় মত কাজে বের হতে পারে না। অনেক রিক্সা চালক শীতের ভয়ে রিক্সাও চালাতে চায় না।

এদিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে নতুন বছরের লেখা-পড়া। দেখা গেছে কিছু কিছু শিশু শিক্ষার্থী সময় মত স্কুলে আসলেও অনেক ছাত্র-ছাত্রী এখনো অনুপস্থিত রয়েছে। প্রচন্ড শীতের কাঁপনে সাবরাং’র ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ ছলিম উল্লাহ বলেন, (“অ বাজি এন শীত, আরার জীবনে আর ন দেহি”)।

এদিকে টেকনাফের মার্কেটগুলোতে শীতের কাপড় কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এ সুযোগে দোকানদাররা শীত বস্ত্রগুলো দ্বিগুন বিক্রি করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এতে নিম্ন আয়ের মানুষরা টাকার অভাবে শীতবস্ত্র ক্রয় করতে পারছে না। টেকনাফের শিক্ষিত সমাজ মনে করছেন, হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আসা হিমেল হাওয়ার শৈত্য প্রবাহের আংশিক টেকনাফে এসেছে বিধায় শুরু হয়েছে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের প্রকোপ।

টেকনাফ উপজেলার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে রোহিঙ্গা রোগীদের সংখ্যা বেশী। উন্নতমানের চিকিৎসা না থাকায় এসমস্ত রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকও ফার্মেসীতে নিজ খরচে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে। তার পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীদের কক্সবাজার রেফার করা হচ্ছে।

আর যাদের এদুটোর মধ্যে কোনটার সামর্থ্য নেই, তাদের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় জমি নিয়ে বিরোধে জের ধরে ১ জনকে কুপিয়ে খুন, আহত ৭

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/