মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
কোমল পানীয় হিসাবে গ্লোব সফট ড্রিংকস লিঃ এর বাজারজাতকৃত ‘ইউরো অরেঞ্জ’ বর্তমানে গ্রাহকদের চাহিদার র্শীষে আছে। গরমে ক্লান্তি ও তৃষ্ণা নিবারণ করতে ছোট বড় সবাই বেঁচে নিচ্ছে ইউরো অরেঞ্জ পণ্যটি। অথচ এই সফ্ট ড্রিংকসটি আসলে স্বাস্থ্যের জন্য কতটা নিরাপদ তা কি আমরা কখনও ভেবে দেখেছি? ভোক্তারা উক্ত সফট ড্রিংকসটির নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখে বিষয়টি সকলের নজরে আনতে, কোম্পানীর কর্তাব্যাক্তিদের অবহিত ও বিএসটিআই কর্তৃক পুণরায় মান যাচাই করতে অনুরোধ করেন।
লামা বাজারের বাসিন্দা এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন বলেন, ২৫ জুলাই সকালে আমার মেয়েকে নিয়ে লামা বাজারে আসি। আমার দেড় বছরের মেয়ে সুষমা স্বরাজ গৌরী ইউরো অরেঞ্জ ড্রিংকস খেতে বাহানা করলে আমি তাকে একটি কিনে দি। অরেঞ্জ ড্রিংকসটি খাওয়ার সাথে সাথে তার পেট প্রচন্ড ব্যাথা করতে শুরু করে। পরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মেয়েকে সুস্থ করি।
লামার চেয়ারম্যান পাড়া এলাকার আব্দুল গফুর বলেন, আমি প্রায় ইউরো অরেঞ্জ ড্রিংকস খেতাম। খাওয়ার সাথে সাথে পেট ব্যাথা শুরু হয়। প্রথম প্রথম বুঝতে পারিনি। পরে বুঝতে পেরে খাওয়া ছেড়ে দেই।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে লামা বাজারের এক সাংবাদিক বলেন, আমরা প্রতিদিনই ইউরো কিনে খেতাম। ২৩ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন মিলে ক্লাবে বসে ৫শ মিলির ইউরো অরেঞ্জ খাচ্ছিলাম। বোতল থেকে ঢালার সময় কিছু পানি ফ্লোরে পড়লে তা পান করে কিছু পিপঁড়া। তার ১ মিনিটের মধ্যে সব পিপঁড়া মরে গেল। অদ্ভুত বিষয়। আমরা কি বিষাক্ত কিছু খাচ্ছি। তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিষয়টি নিয়ে লামা, আলীকদম ও চকরিয়ার আরো অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উইলিয়াম লুসাই বলেন, প্রথমত কোন কোমল পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। বিষয়টি ল্যাবটরিতে পরীক্ষা নিরিক্ষা করার বিষয় আছে। বোতলের গায়ে বিএসটিআই এর লগো সংযুক্ত আছে। সম্পূরক এক প্রশ্নে জবাবে তিনি আরো বলেন, বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ কিভাবে অনুমোদন দেন তা আমার জানা নেই।
এই বিষয়ে গ্লোব সফট ড্রিংকস এর ঢাকাস্থ তেজগাঁও অফিসের উচ্চ ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে ফোনে (০২-৮৮৭৯৩০৩) যোগাযোগ করলে তারা কোন বক্তব্য না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
You must be logged in to post a comment.