এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে গভীর রাত থেকে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টিপাত। জনদূর্ভোগে পড়েছে সর্বশ্রেণী পেশার মানুষজন। চলাচলের প্রধান ডিসি সড়কসহ বিকল্প সড়কটি বর্তমানে মরণ দশায় পরিণত হয়ে পড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারের হাসপাতাল সড়ক, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, তেলী পাড়া সড়কের মুল অংশ আর মাছ ও তরকারী বাজার সড়কে বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হয়ে উঠেছে। যাতে করে জন ও যানবাহন চলাচলে দূভোর্গ আর দূর্গতিতে পড়েছে।
এদিকে বাজারের প্রধান ডিসি সড়কের দক্ষিন পার্শ্বস্থ সড়কটি সংস্কার না করায় বৃষ্টির পানি এবং বালির কারনে যানবাহন চলাফেরা করতে পারছেনা কোনভাবেই। যার কারণে, ব্যবসায়ীক ভরা মৌসুমে দুরদুরান্তের ক্রেতা ও সাধারন লোকজন চলাচল করতে চরম দূর্ভোগে পড়ছে। সে সাথে ঈদগাঁও বাইতুশ শরফ সড়কে হাটু পরিমাণ পানিতে করুণ দশা বললেই চলে। পাশাপাশি এলাকাতে দিনভর বিদ্যুতের দেখা না মেলায় ফ্রিজে রক্ষিত খাদ্রদ্রব্য নষ্টের পথে বলে জানান গৃহবধূরা।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও পবিসের জিএমের সাথে কথা হলে তিনি বিদ্যুতের লাইন টিকতেছেনা বলে জানান।
অন্যদিকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত ঈদগাঁও মাদ্রাসার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কটি বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে পড়েছে। সড়ক জুড়েই বড় বড় গর্তে হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির পানি যত্রতত্র স্থানে গর্তে জমে চলাফেরা অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেকায়দায় পড়েছে স্কুল- কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
আরো দেখা যায়, মাদ্রাসা সড়ক দিয়ে বর্তমানে জন ও যানবাহন চলাচল অনেকটা বৃদ্বি পেয়েছে। উক্ত সড়কটি গর্তের সৃষ্টির কারণে এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে জানান বহু পথচারীরা। আবার মাদ্রাসা গেইট সংলগ্ন দু পাশে গর্তের সৃষ্টি হলেই, বৃষ্টির পানি জমে জন ও যান চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। লক্কর ঝক্কর মার্কা সড়ক পেরিয়ে শিক্ষালাভ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সন্ধ্যাকালীন সময়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে যেকোন মুহুর্তে অপ্রীতি কর দুর্ঘটনার আশংকাও প্রকাশ করেন চালকরা।
কয়েক পথচারী জানান, বর্তমানে ব্যস্তবহুল সড়ক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মাদ্রাসা সড়কটি। সড়ক জুড়েই প্রায় অংশে গর্ত আসলেই ঝুকিঁপূর্ণ। রক্ষা পেতে হলে সংস্কারের বিকল্প নেই। তবে শিক্ষার্থীরা জানান, যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মাদ্রাসা সড়কটি সংস্কার অতীব জরুরী। প্রতিনিয়ত অযথা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারন লোকজনদেরকে।
You must be logged in to post a comment.