কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের গরুর হালদার শিয়াপাড়া-কোনা পাড়াবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ কাঠের নড়বড়ে ব্রীজটি। অথচ বর্তমান সরকারের শাসনামলে জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা সড়ক কিংবা কালভার্ট নির্মাণ করলেও গ্রামাঞ্চলের এ কাঠের ব্রীজটি কারো নজরে পড়েনি। এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি দেখার কেউ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন নড়বড়ে ব্রীজ দিয়ে চলাচলরত প্রায় তিন হাজারের অধিক লোকজন।
জানা যায়, ঈদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর শিয়া পাড়া, মধ্যম শিয়া পাড়া, কোনা পাড়া, ভাদিতলার শত শত নারী-পুরুষ যাতায়াতের পাশাপাশি ঈদগড়-বাইশারীর লোকজনও অনেক সময় এ সড়ক দিয়ে ব্রীজ পার হয়ে নিজ নিজ লক্ষ্যস্থলে পৌছায়। গ্রামাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রীজটি সংস্কার না হওয়ায় বিশাল এলাকাবাসীর চোখেমুখে হতাশার কালো ছায়া দেখা দিয়েছে। এমনকি এ ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা লন্ডভন্ড কাঠের ব্রীজটি পার হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে অসংখ্য শিক্ষার্থীরা। এসবের দিকে দৃষ্টি রেখে দ্রুততম সময়ে এ কাঠের ব্রীজটি পরিপূর্ণ সংস্কারের জোর দাবী তুলছেন এলাকাবাসী।
এছাড়া দৈনিক শত শত লোকজন রাতে কিংবা দিনে নানা কাজকর্মে জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারে আসা-যাওয়া করে থাকে অত্যন্ত দূর্ভোগ আর দূর্গতি নিয়ে। জেলার অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের সড়ক, কালভার্ট কিংবা ব্রীজ যেভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে তার একবিন্দুও শিয়াপাড়ার শত শত লোকজন খুঁজে পায়নি।
১৪ জানুয়ারী সকালে গরুর হালদা নামক এলাকার শিয়া পাড়া যাতায়াত ব্রীজটি পরিদর্শনে গেলে এমন চিত্র ভেসে উঠে। ব্রীজ পার হয়ে আসা রিক্সা চালক আবু তাহেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি হতাশ কন্ঠে জানান, শিয়া পাড়া, কোনা পাড়ার লোকজন প্রতিবাদ করতে জানে না বিধায় এ ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এলাকার কয়েক মুরব্বীর মতে, এলাকার ইউপি সদস্য সহ ছোট বড় নেতাকর্মীরা এক পাশে থাকার কারণে আজ আমাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটির খবর কেউ রাখে না। তবে এলাকাবাসী মোক্তারসহ বেশ ক’জন যুবকের মতে, মধ্যম ও উত্তর শিয়া পাড়াবাসীর একমাত্র চরম দুঃখ দুর্দশা এ কাঠের ব্রীজটি। তাই অবিলম্বে এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি পুনঃসংস্কার করে এলাকাবাসীর মুখে হাসির ঝিলিক ফুটিয়ে তোলার আহবান উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
You must be logged in to post a comment.