অজিত কুমার দাশ হিমু; কক্সভিউ :
নতুন বছরের শুরুতেই কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা লাইব্রেরীগুলোতে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি চলছে নোট ও গাইড বইয়ের জমজমাট ব্যবসা। এতে করে প্রতারিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রায় প্রত্যেক লাইব্রেরীতে বই ক্রেতাদের ভীড় চোখে পড়ার মত। ক্রেতাদের ভীড়ের চাপে বিক্রেতাগণ হিমশিম খাচ্ছে। বই বিক্রেতাগণ নতুন বছরের পাঠ্য বই বেচাকেনার পাশাপাশি পাঠ্য বইয়ের নোট ও গাইড বই বিক্রি করে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। যদিও পাঠ্য বইয়ের নোট ও গাইড বইয়ের উপর সরকারের বিধি নিষেধ রয়েছে। লাইব্রেরী মালিকগণ সরকারের বিধি নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দেদারচ্ছে নোট ও গাইড বই বিক্রি করছে বলে প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান।
স্থানীয় লাইব্রেরীর মালিকগণ কৌশলে বিভিন্ন পাবলিকেশনের নোট ও গাইড বই এনে গুদামজাত করে থাকে। জানা গেছে ঢাকা থেকে বিভিন্ন পাবলিকেশনের প্রকাশিত নোট ও গাইড বইগুলো স্থানীয় দোকানদারগণ চুক্তির মাধ্যমে গোপনীয়তা রক্ষা করে বিভিন্নভাবে বই নিয়ে আসে।
সূত্রে জানা গেছে, স্বনামধন্য কয়েকটি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন পাবলিকেশনের মালিকগণ পার্সেল আকারে নোট ও গাইড বই সরবরাহ করে থাকে। পার্সেলের গায়ে প্রেরকের ঠিকানায় শুধুমাত্র পাবলিকেশনের নাম এবং প্রাপকের ঠিকানায় লাইব্রেরীর নাম লেখা থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক দোকান মালিক জানান, ইতিপূর্বে নোট ও গাইড বই বিক্রির উপর সরকারের বিধি নিষেধ থাকলেও বর্তমানে নেই।
You must be logged in to post a comment.