ঈদগাঁও প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ

এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :

কক্সবাজারের ঈদগাঁও প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় এলাকার বিভিন্ন মানুষের মধ্যে (১০ ফেব্রুয়ারি) কম্বল ও শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

বিকেলে স্থানীয় হাইস্কুল মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঈদগাঁও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়ার সহায়তায় এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের অর্থায়নে সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। শীত সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার (শিশু বিভাগ) ডাক্তার আবদুর রহিম আমানী, ঈদগাঁও মডার্ন হাসপাতাল এন্ড ডায়াবেটিক কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার মোঃ ইউসুফ আলী, ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপি’র অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুস শুক্কুর, ঈদগাহ মেডিকেল সেন্টারের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নজরুল ইসলাম, বদরখালী ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক জাহেদুল হাসান, ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের অর্থ সম্পাদক নুরুল আমিন, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য রমজান আলী, মাছুয়াখালী রত্নগর্ভা রিজিয়া আহমদ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক, ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী নুরুল আমিন প্রমুখ।

ঈদগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায়, সাধারণ সম্পাদক শেফাইল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর বাঙালি, সহ-সাধারণ সম্পাদক এম, শফিউল আলম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন পিন্টু, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আলা উদ্দিন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক কাউছার উদ্দিন শরীফ, কার্যনির্বাহী সদস্য রাশেদ কামালসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।

উদ্বোধনী বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ এ ধরনের মহতি কার্যক্রমে এলাকার বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। গোলাম কবির বলেন, এলাকাবাসীর কল্যাণে ঈদগাঁও প্রেস ক্লাবের এ উদোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে এই কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রেস ক্লাবের দায়িত্বশীলরা বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসন এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দিয়ে এলাকাবাসীর জন্য কিছুটা ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিলেন। আগামীতে মানুষের কল্যাণে নানা জনহিতকর কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান।
উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত মানুষ উপকৃত হয়েছে।