সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / ঈদযাত্রা যেন মৃত্যুর মিছিল না হয় : যেখানে স্কুল সেখানেই ট্রাফিক পুলিশ থাকবে

ঈদযাত্রা যেন মৃত্যুর মিছিল না হয় : যেখানে স্কুল সেখানেই ট্রাফিক পুলিশ থাকবে


হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
এগারো লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে সেবা দিতে আসা সরকারি-বেসরকারি এবং দেশ-বিদেশের হাজার হাজার এনজিও কর্মীর ঈদযাত্রা কতটা নির্বিঘ্ন হবে তা নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

ঢাকাকেও হার মানাবে উখিয়া-টেকনাফের যানজট। যানজট ও জনজটে দিশেহারা স্থানীয়রা। প্রতিবছর ঈদে সড়ক মহাসড়কে ভুগতে হয় ঘরমুখো লাখ লাখ মানুষকে। কখনও দুর্ভোগের কারণ ভাঙাচোরা সড়ক, কখনও দীর্ঘ যানজট।বাসের ট্রিপ-সংখ্যা ঠিক রাখতে বেপরোয়া গতি। বর্ষায় বেহাল রাস্তায় দুর্ঘটনা বাড়ে। আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হলেও সরকারি হিসাবে এখনও ৩০ শতাংশ মহাসড়ক ভাংগাচোরা। তাই এবারও পথে দুর্ভোগের মানষিক প্রস্তুতি নিয়ে ঘর ও কর্মস্থল থেকে বের হতে হবে।

কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এবং কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে ছোট-বড় গর্ত ও ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকটি স্থানে চলা উন্নয়নকাজও হবে যানবাহন স্লথ হওয়ার কারণ।

কক্সবাজার জেলার সব চাইতে ভয়াবহ যানজট এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে উখিয়াকে। দূরপাল্লার গাড়ীর পাশাপাশি এনজিওদের শত শত বিলাস বহুল গাড়ী কক্সবাজার হয়ে উখিয়া অতিক্রম করে টেকনাফ পৌঁছে যাচ্ছে।মহাসড়কের যানজটপ্রবল এলাকাগুলো থেকে অবৈধ স্থাপনা ও বাজার উচ্ছেদ না হওয়া একই সমস্যার জন্ম দেবে। যানজটের কারণে যাত্রীবাহী বাসগুলো কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক ট্রিপ দিতে না পেরে তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বেপরোয়া গতিতে চালানো হয় বলেই প্রতিবছর ঈদযাত্রা পরিণত হয় মৃত্যুর মিছিলে। এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়ক সচল ও দখলমুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

৫ আগস্ট ঢাকায় গণভবনে বক্তব্যে দুর্ঘটনা কমাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আন্ডারপাশ, ওভার পাস করে দিচ্ছি।এছাড়া সড়ক প্রশস্তকরণ, মূল হাইওয়ের পাশে আলাদা সড়ক করা, চার-পাঁচ ঘন্টা পরপর ড্রাইভারদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া যা যা ছিল সবই একে একে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। প্রত্যেকটা জায়গায় যেখানেই স্কুল সেখানেই ট্রাফিক পুলিশ থাকবে এবং রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা করে দেবে। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে দু:খ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, বিগত বছরগুলোতে একই উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাস্তবায়নে দুর্বলতা ছিল।ঈদের আগে ও পরে তিন দিন করে মোট ছয় দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হয় না।

২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯৬ জন নিহত হয়েছেন। আর গত এগারো মাসে শুধু উখিয়ায় অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ শিশু সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।তাদের অধিকাংশই মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত পণ্যবাহী (বাঁশবাহী) যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীবাহী সিএনজি ও বাসের সংঘর্ষ ও বেপরোয়া গতি। উখিয়া ষ্ঠেশনে সৌদিয়া, এস.আলম, হানিফ, সেন্টমার্টিনসহ দূরপাল্লার গাগিগুলো রাস্তায় থামিয়ে যত্রতত্র যাত্রী তোলা হচ্ছে। ঈদে যানজট আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোটবাজারেরও চিত্র অভিন্ন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সম্প্রতি রাস্তা প্রশস্ত করতে কুতুপালং ও বালুখালী, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত সড়কের এক পাশে মাটি কাটার কাজ চলছে। এতে একটু বৃষ্টি হলেই পুরো সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। গর্ত সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। ফলে অতিরিক্ত বাঁশবাহী ট্রাক উল্টে সিএনজি গাড়ি চাপা দিয়ে রোহিঙ্গা নারী শিশু ও স্থানীয় এনজিও মহিলা কর্মীসহ ৪ জন নিহত হয়। নিয়মিত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে উখিয়ায়। এখনো চোখে পড়ার মতো উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয় অভিভাবকরা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রাস্তার পাশে প্রতিটি স্কুলের সামনে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন ও ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা পারাপারের সহায়তা করতে জোর দাবি জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/05/Khorshida-Jannat-Sagar-14-5-224.jpeg

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফাহমিদা বেগমের সাথে ঈদগাহ হাই স্কুল প্রধান শিক্ষকের সাক্ষাৎ 

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও : ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কক্সবাজারের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগমের সাথে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/