হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
কক্সবাজার জেলার উখিয়া ডাকবাংলো সড়ক, দরগাহবিল টাইপালং সড়ক ও বাজার সড়ক নিয়ে ত্রিমুখী জনপদ উখিয়া দক্ষিণ স্টেশন জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ স্টেশনে সড়ক দখল করে প্রতিনিয়ত হাটবাজারসহ যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং করার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন এ উপজেলায় যোগদান করার পরপরই উখিয়া স্টেশনের প্রায় ১ মাইল দীর্ঘ সড়ক পথে উভয়পার্শ্বে গড়ে উঠা অবৈধ দোকানপাট অপসারণ করেন। পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় করে স্টেশনের উপরে যেকোন ধরনের যানবাহন পার্কিং না করার জন্য বিধি নিষেধ আরোপ করলেও তা মানা হয়নি।
সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে সিএনজি মালিক শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আমিন শাকিলের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, স্টেশনে বিকল্প কোন জায়গা না থাকার কারণে যাত্রীদের সুবিধার্থে সড়কের পাশে সিএনজিগুলো অবস্থান নেয়। সিএনজি ছাড়াও জীপ, মাইক্রো, টমটম বটবটি গাড়ী গুলো কারো আদেশ নির্দেশের তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে পার্কিং করছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
ফার্মেসী মালিক আব্দুর রহিম, ডাক্তার আব্দুল জাব্বার, দিলীপ কুমার মল্লিকসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, দোকানের সামনে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং তাদের ব্যবসার জন্য বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলা প্রশাসন সড়ক পথের উভয় পাশে গড়ে উঠা হাটবাজার অপসারণ করলেও কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের হাটবাজার জমে উঠার কারণে স্থায়ী ব্যবসায়ী ও স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্রছাত্রীদের চলাফেরা, আসা যাওয়া চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
উপজেলা বহুমুখী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি একরামুল হক জানান, এখানে নির্দিষ্ট একটি বাজার রয়েছে। যে বাজারটি প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসন ইজারা দিয়ে অর্ধকোটি টাকার মত রাজস্ব আদায় করছে। তথাপিও সড়ক পথ দখল করে প্রতিনিয়ত হাটবাজার বসার কারণে একদিকে যেমন যানবাহন চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রচন্ড যানজটের কবলে পড়ে যাত্রীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।
অঘোষিত বাজারের উপ-ইজারাদার মোক্তার আহমদ জানান, তারা উখিয়া বাজার ইজারা দারের নিকট থেকে পুরো স্টেশনটি উপ-ইজারা নিয়ে টোল আদায় করছে। সড়ক পথ দখলকারী ব্যবসায়ীরা জানান, তারা ইজারাদারকে নিয়মিত টোল আদায় করে ব্যবসা করছে। সচেতন মহলের অভিযোগ, মূলত এ স্টেশনটি বাজার ইজারাদারের আওতায় পড়েনি। তথাপিও তারা কিসের জোরে স্টেশনের উভয়পার্শ্বে জমে উঠে বাজার থেকে টোল আদায় করছে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, সড়ক পথের উভয়পাশে গড়ে উঠা জবরদখলকারীদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই অবৈধ স্থাপনা গুলোতে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেসব চিহ্নিত স্থান খুব দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের উপর কোন প্রকার হাটবাজার বসতে দেওয়া হবে না। যতদ্রুত সম্ভব এনিয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
You must be logged in to post a comment.