রাস্তায় বাস চলবে অথচ কোনো চালক থাকবে না এমন কখনো হয় নাকি? আবার কোন যাত্রী কোন গন্তব্যে পৌছাবে তা চালক ছাড়া অন্য কেউ বুঝবেই বা কি করে? এমনই সব কৌতুহলী প্রশ্ন চালকবিহীন কার নিয়ে যেমন ছিল তেমনি এবার সেই একই রহস্য সৃষ্টি হয়েছে চালকবিহীন বাসকে ঘিরে।
ইতিমধ্যেই এটি এখন অটোমোবাইল দুনিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত এক বিষয়। ভলভো, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো মোটরগাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কিংবা অ্যাপল-গুগলের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান-সবার আগ্রহ এখন এই প্রযুক্তিকে ঘিরে। তবে এই প্রযুক্তি এখন আর শুধু বিলাসবহুল কারে আটকে থাকছে না।
কার ছেড়ে এবার চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তি এক ধাপ এগিয়ে ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে বাসে। এরই মধ্যে তারা অনেকদূর এগিয়েছে এই প্রযুক্তির কাজ। জার্মান অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান ‘দাইমার আগ’ নিয়ে এসেছে মার্সিডিজ বেঞ্জের চালকবিহীন বা স্বয়ংক্রিয় বাস। যাত্রীবাহী এই বাস চালানো হয়েছে নেদারল্যান্ডসের রাস্তায়। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগেজেট।
নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামের শিপোল বিমানবন্দর থেকে হার্লেম শহরে যাওয়ার রাস্তায় চালানো হয়েছে বাসটি। মহাসড়কে ওঠার পর বাসটি যেমন স্বয়ংক্রিয়ভাবে গতি বাড়িয়েছে তেমনি আবার পথচারীদের দেখে বাসটি গতি কমিয়ে থেমেও গেছে। ২০ কিলোমিটার রাস্তায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলেছে গাড়িটি। ঠিকঠাকভাবে স্টপেজ থেকে যাত্রীদের নিয়ে আবার ঠিকমতো তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে।
তবে যেহেতু পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবার বাসটি রাস্তায় নামানো হয়েছে তাই চালকের আসনে একজন চালক বসে থাকলেও তাঁকে কোনো কষ্ট করতে হয়নি। মার্সিডিজ বেঞ্জ এই বাসটির নাম দিয়েছে ‘ফিউচার বাস’। বাসের ভেতরে ফোন চার্জিংয়ের জন্য রয়েছে তারহীন প্রযুক্তি।
মার্সিডিজ বেঞ্জের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘দাইমার আগ’ তৈরি করেছে ‘হাইওয়ে পাইলট অটোনোমাস ট্রাকিং টেকনোলজি’। এই প্রযুক্তিতেই চালানো হয়েছে ফিউচার বাস। এ ধরনের বাসে রয়েছে জিপিএস, রাডার ও এক ডজন ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে ট্র্যাফিক সিগন্যাল, পথচারী ও রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়িটি চলে।
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে ফিউচার বাস। নির্দিষ্ট স্টপেজে এসে কিছুক্ষণের বিরতি নেয় বাসটি। এ সময় যাত্রীরা ওঠা-নামা করতে পারবে। বাসটির ইন্টেরিয়রও বেশ চমত্কার। ভেতরে রাখা হয়েছে বেশ জায়গা, যাতে যাত্রীরা আরাম করে বসতে পারে।
সূত্র:protikhon.com
You must be logged in to post a comment.