অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ :
কয়েক দিন পরেই বাঙালির প্রাণের উত্সব পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুত বাঙালি। এ উত্সবে বাঙালির ঘরে ঘরে চলে পান্তা ইলিশের আয়োজন। তাই কক্সবাজারের মত্স্য ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ইলিশের দাম হাকাচ্ছে আকাশচুম্বি।
এদিকে বাংলা নববর্ষ বা অন্য কোনো উপলক্ষ না, স্বাভাবিক হিসেবেই প্রতিদিন বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ। শত শত ইলিশে ভরপুর কক্সবাজারের ফিসারী ঘাটের মত্স্য অবতরণ কেন্দ্রে। জেলেরা বলছেন, পর্যাপ্ত ইলিশ থাকার পরও ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন।
নতুন বছরের রসনা বিলাসে অনেকের বাজার ফর্দতেই আছে ইলিশ। তবে দামের কারণে ত্যক্ত-বিরক্ত অনেকে ইলিশকে তালিকার বাইরে রেখেছেন। আবার বাজারে ইলিশ যেমন কম, দামও তেমনি আকাশ ছোঁয়া। অথচ কক্সবাজার মত্স্য অবতরণ কেন্দ্রের চিত্র কিন্তু আলাদা। ভোর হবার কিছু আগে থেকেই সেখানে ভিড়তে থাকে ট্রলার ভর্তি ইলিশ। জেল জরিমানার ভয়ে মাঝ নদীতেও সর্তক জেলেরা নয়শ গ্রামের নীচে কোনো ইলিশ নিয়ে ঘাটে আসছেন না।
প্রমাণ সাইজের ইলিশ ভোরের আগে ঘাটে আসার পর ভোর হতে না হতেই ঘাট থেকে ইলিশে ইলিশে ভর্তি হয়ে যায় কক্সবাজার মত্স্য অবতরণ কেন্দ্র। তিন ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি-বাট্টা শেষ। পাইকারদারদের মুখেও তাই চওড়া হাসি।
পাইকারদাররা বলছে বঙ্গোপসাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। বৈশাখ মৌসুমে তারা দশ লাখ টাকা পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি করে। তবে পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে অসাধু ব্যসায়ীরা বেকায়দায় ফেলতে চান ইলিশ প্রেমিদের। ইলিশ ধরা বন্ধ ছিলো এমন অজুহাতে ইলিশের কেজি প্রতি ২ হাজার টাকা চাইতেও পিছপা হচ্ছেন না তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন বৈশাখ উপলক্ষে বড় সাইজের ইলিশ দুই থেকে আড়াই হাজার, আর এমনিতে পাঁচশ থেকে এত হাজার।
পাইকারদাররা বলছেন, কক্সবাজার মত্স্য অবতরণ কেন্দ্রে ৫০টির মত আড়তে প্রতিদিন সকালে মাত্র ৪ ঘণ্টায় বেচা কেনা চলিশ থেকে পঞ্চাশ লাখ টাকা। গতবারের চেয়ে এবার বিক্রিও বেশি।
মাছে ভাতে বাঙ্গালী চিরকালই ভোজন রসিক, আর সেই ভোজন রসে যদি একটু পাতে ইলিশ থাকে তাহলেতো কথাই নেই।
You must be logged in to post a comment.