রফিক মাহামুদ; কোটবাজার :
কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ হানিফ (১৩)কে অজ্ঞান অবস্থায় ও কোটবাজার হাকিম আলী কেজি স্কুলের ছাত্রী নুর ফরিদা মাম্মী (৮) উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে হলদিয়ার পাতাবাড়ী এলাকা থেকে হানিফকে ও থাইংখালী এলাকা থেকে মাম্মীকে উদ্ধার করা হয়। হানিফের জ্ঞান ফিরে না আসায় আসল ঘটনার রহস্য এখনো জানা যায়নি। তিনি বর্তমানে কোটবাজার অরজিন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে।
এদিকে ছেলে ধরা কর্তৃক অপহৃত উদ্ধার হওয়ার স্কুল ছাত্রকে দেখতে হাসপাতালে শত শত অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও জনতার ভিড় জমেছে।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের ছৈয়দ কাশেমের পুত্র মোহাম্মদ হানিফ পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। স্থানীয় রুহুলারডেবা নানার বাড়ীতে থেকে পড়া লেখা করত। পিতা ছৈয়দ কাশেম জানান, সকালে ক্রিকেট খেলার পর বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দুপুরে ফোনে জানতে পারে অজ্ঞান অবস্থায় পাতাবাড়ী এলাকায় তাকে পাওয়া গেছে। এ সংবাদ শুনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সাকের উদ্দিন সাগরসহ অভিভাবক ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় স্কুল ছাত্র হানিফকে উদ্ধার করা হয়। পরে কোটবাজার অরজিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: ইদ্রিস মিঞা অভিভাবক প্রতিনিধি হাসান জামাল রাজু জানান, কারা অপহরণ করেছে বা কেন অপহৃত হয়েছে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া ছাত্রের জ্ঞান ফিরে আসলে আসল ঘটনা জানা যাবে।
অপরদিকে কোটবাজার হাকিম আলী কে.জি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী নুর ফরিদা মাম্মী কে গতকাল বিকেলে থাইংখালী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ছাত্রী মরিচ্যা গুরা মিয়া গ্যারেজ এলাকার দুবাই প্রবাসী ফরিদ আলমের কন্যা বলে জানা গেছে।
নিকট আত্মীয় চৌধুরী পাড়া গ্রামের তারেক জানান, সকালে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে মাম্মী নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোজাখুজির পর ১৮ কিলিমিটার দুরে থাইংখালী এলাকা থেকে স্কুল ছাত্রী মাম্মীকে উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ হওয়া বিষয়টি জানা যায়নি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হাবিবুর রহমান, স্কুল ছাত্র ও ছাত্রী উদ্ধারের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে নিখোঁজ বা অপহরণ ঘটনার বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.