সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / কক্সবাজারে জরুরী হাম রোবেলা টিকাদান কর্মসূচি শুরু

কক্সবাজারে জরুরী হাম রোবেলা টিকাদান কর্মসূচি শুরু

আওতায় সাড়ে তিন লাখ শিশু: আক্রান্ত রোগী থেকে দুরে থাকার পরামর্শ

দীপক শর্মা দীপু; কক্সভিউ :

কক্সবাজারে হাম রোবেলা রোগের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে ১৫ দিনের জরুরী টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে। কক্সবাজার জেলার সাড়ে ৩ লাখ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি এই ছোঁয়াছে রোগ যাতে আর না ছড়ায় সেই জন্য  আক্রান্ত এসব রোগী থেকে দুরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।

কক্সবাজারে আকষ্মিকভাবে  হাম রোবেলা রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ছোঁয়াছে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে জেলাব্যাপী। এর ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে জরুরী টিকাদান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ২৯ এপ্রিল সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডা: পুঁ চ নু। তিনি জানান- ‘কক্সবাজারে হঠাৎ হাম রোবেলা রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রোগ মহামারি আকার ধারণ করার আগে বিশেষ হাম রোবেলা টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত টেকনাফ ও উখিয়ার অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তিসহ কক্সবাজারের ৮ উপজেলার ৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৩ জন শিশুকে আগামি ১ মে’র মধ্যে হাম রোবেলার টিকা খাওয়ানো হবে। এ জন্য ১৯৩৫ কেন্দ্রে ৭৭৪০ কর্মী ও সেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।’

মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের শরীরে এই রোগের জীবানু রয়েছে বলে আশংকা করে বলেন-‘ যেহেতু রোহিঙ্গাদের শরীরে এই রোগের প্রভাব বেশি তাই আপাতত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে স্থানীয়দের দুরুত্ব বজায় তথা সাবধানে মেলামেশা করা দরকার।’

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সারোয়ার মাহবুব বলেন-‘কক্সবাজার জেলায় হঠাৎ করে হাম রোবেলা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। কক্সবাজার জেলায় আগে যেখানে ১০ লাখে ৬ বা ৭ জন রোগী ছিল। এখন ২০১৬ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১০ লাখে ৪৫৩ জন রোগী পাওয়া গেছে। গত দুই সপ্তাহে শুধু কক্সবাজার সদরে পাওয়া গেছে ৪ জন রোগী। এভাবে দ্রুত বাড়তে থাকলে হাম রোবেলা রোগ মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। তাই দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে প্রতিশোধক হিসাবে জরুরীভিত্তিতে ১৫ দিনের টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।’

কি কারনে হঠাৎ হাম রোবেলা রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে ডা: সারোয়ার মাহবুব বলেন-‘কক্সবাজারে আগে ক্রমান্বয়ে হাম রোবেলা রোগ হ্রাস পায়। এমন কি প্রতি ১০ লাখে রোগী পাওয়া গেছে মাত্র ৬ জন। কিন্তু এখন ৪৫৩ জন রোগী চিহ্নিত হয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাদের সাথে বয়ে বেড়াচ্ছে হাম রোবেলা সহ নানা রোগ ব্যাধী। রোহিঙ্গারা যত বেশি সবখানে ছড়িয়ে পড়ছে এবং এখানকার (বাংলাদেশি) জনবসতিদের সাথে মিশে যাচ্ছে তত বেশি হাম রোবেলা রোগ ছড়িয়ে যাচ্ছে। ছোঁয়াছে হওয়ায় এই রোগ দু্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র।’ তিনি বলেন-‘বলেন এই সমস্যা থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে হলে টিকা নেয়ার বিকল্প নেই। ৯ মাস থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত সকল সুস্থ্য শিশুদের টিকা খাওয়াতে হবে। এমন কি যারা আগে টিকা খেয়েছে তাদের আবারো টিকা খাওয়াতে হবে। সকাল ৮ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত সকল টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে।’

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/05/workshop-Kamal-15-5-2024.jpeg

রামুতে সিডিডি প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কামাল শিশির; রামু : ১৪ মে, বুধবার সকাল ১১ টায় রামু উপজেলা পরিষদ হিমছড়ি হল ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/