কক্সবাজারে হঠাত্ করে আবারো বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে আদার দরও। পাশাপাশি শীতকালীন সবজি বাজারে আসলেও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তবে চালের দাম কমেছে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা পর্যন্ত। স্থিতিশীল রয়েছে তেল, ডাল ও মশলার বাজারও।
পেয়াজ, রসুন আদার পাইকারি বাজারে অন্য সময় ক্রেতার ভিড় আর কাঁচামালের বস্তা ওঠানামার কাজে কুলিদের ব্যস্ততায় মুখরিত থাকে। কিন্তু রবিবার দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
দুই এক দিনের ব্যবধানে পেয়াজের দাম বাড়ায় ক্রেতারা হতাশ। ৪০-৪২ টাকার দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দর ৫৮ থেকে ৬০ আর ভারতীয় পেঁয়াজের পাইকারি দর কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি।
এদিকে আদার দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে হঠাত্ করেই। বস্তা প্রতি ১০০ টাকা বেড়েছে আলুর পাইকারি দাম।
তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে চালের বাজারে। প্রকারভেদে চাল কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। স্থিতিশীল রয়েছে মোটা আতপ চালের দাম। সামনে দাম আরো কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, খোলা পামওয়েল ও সয়াবিন তেল, ডাল ও মশলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
এখনো শীতের দেখা না মিললেও সবজি বাজারে দেখা যাচ্ছে শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি ও মূলা। তবে এসব সবজির দাম এখনো সীমিত আয়ের ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
বাজারে ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৪০ টাকায়। এছাড়া বেগুন মান ভেদে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০, মূলা ও করলা ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে, মাছ বাজারে দেখা গেলো ক্রেতা বিক্রেতার পাল্টা অবস্থান। বিক্রেতারা জানালেন, ইলিশ বিক্রি শুরু হওয়ায় অন্যান্য মাছের দাম কিছুটা কমেছে। এখানে, তেলাপিয়া ১শ’ ৬০, রুই ১শ’ ৫০, পাঙাশ ১শ’ ৩০টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তবে ১ কেজির ওজনের ইলিশ কিনতে ক্রেতাকে গুণতে হবে প্রায় ১হাজার থেকে ১২শ টাকা। আর ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকায়।
বাজারে প্রতি ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৯৬ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস ৩৮০, খাসি ৬০০ এবং ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে।
You must be logged in to post a comment.