মহামারি করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত সেনা পরিবারের মোট ১০ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে কর্মরত দুই জন সেনা সদস্যও রয়েছেন। অন্য আট জন সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য।
করোনা ভাইরাসে মারা যাওয়া অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সবার বয়স ৬০ বছরের উপরে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, শনিবার (২৩ মে) পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত মিলিয়ে এক হাজার ২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া, তাদের পরিবারের ৯২ জন সদস্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেসামরিক ও অন্যান্য ২৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হন, যাদের সিএমএইচে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩৩ জন বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৪২১ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ভর্তি অন্য রোগীরা সবাই সুস্থ আছেন।
আইএসপিআর আরো জানায়, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট ১০ জন মারা গেছেন, তাদের প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন যাবত অনিরাময়যোগ্য বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন, এই অবস্থায় তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত সব সদস্য, তাদের পরিবার ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার জন্য আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজিসহ (এএফআইপি) সব সিএমএইচে মোট ১৩টি ‘আরটি-পিসিআর’ মেশিন প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। এছাড়া সব সিএমএইচে পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদিও মজুত আছে।
শনিবার (২৩ মে) পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর পিসিআর ল্যাবরেটরিতে সশস্ত্র বাহিনীর ৪ হাজার ৩৭৫ জন, পরিবারের সদস্য ৭৭৪ জন এবং বেসামরিকসহ অন্যান্য ২ হাজার ২৬১ জন সদস্যের মোট ৭ হাজার ৪১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীদের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দিয়ে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
সূত্র: somoynews.tv – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.