Home / জাতীয় / পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ#https://coxview.com/islam-eid/

অনলাইন ডেস্ক :
মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ। ঈদ শব্দটি আরবি, যার অর্থ হলো আনন্দ, উৎসব, পুনরাগমন, পুনরাবৃত্তি ইত্যাদি। খুশি, আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের দিন আজ। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হবে দিনটি। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র রমজানে পুরো এক মাস রোজা পালন করে এখন জামাতে ঈদের নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।

 

রমজানের শেষে ‘খুশির ঈদ’ পূর্বেও এসেছে, সর্বদাই আসছে ভবিষ্যতেও আসতে থাকবে, এটাই ইসলামের চিরন্তন বিধান। ঈদ মানেই আনন্দ, নতুন জামা আর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মিলনমেলা। পুরো রমজান মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় আনন্দ উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। হৈ-হুল্লো, ঘুরে বেড়ানো, খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডায় মেতে ওঠা। এ উৎসবে মুসলমানরা ঈদগাহে কোলাকুলি করে থাকেন।

 

ঈদুল ফিতর ইসলামের রীতি-নীতি অনুযায়ী ধর্মীয় দায়িত্বসমূহ পালন করার মধ্যেই প্রকৃত শান্তি নিহিত রয়েছে। ঈদুল ফিতর মুসলিমদেরকে সাম্য, মৈত্রী, ঐক্য এবং ইসলামি ভ্রাতৃত্ববোধ শিক্ষা দেয়।

 

দীর্ঘ একটি মাস কঠোর সিয়াম সাধনা ও ইবাদত-বন্দেগির পর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ রোজা ভঙ্গ করে আল্লাহ তায়ালার বিশেষ নিয়ামতের শুকরিয়াস্বরূপ যে আনন্দ উৎসব পালন করে। অনাবিল আনন্দ ও উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় এ ঈদুল ফিতর। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষেরই উৎসব আছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, প্রত্যেক সম্প্রদায়েরই ঈদ আছে-প্রতিটি জাতিরই খুশির দিন আছে। আর এটা আমাদের ঈদ-আমাদের খুশির দিন। রাসুল (সা.) যখন মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় গেলেন, তখন সেখানে জাহেলি যুগ থেকে প্রচলিত দু’টি উৎসবের দিন ছিল; শরতের পূর্ণিমায় ‘নওরোজ’ এবং বসন্তের পূর্ণিমায় ‘মেহেরজান’।

 

মহানবী সা. হাদিসে আরো ইরশাদ করেন যে, ‘যারা রমযানে রোযা রাখেনি তারা ঈদের নামাজে সুসংবাদ প্রাপ্ত তথা মুক্তি প্রাপ্ত মানুষের কাতারে শামিল হবে না। তাদের জন্য কোন আনন্দ নেই। আর যারা রোযা পালন করেছে, গরীবদেরকে নিজের মাল থেকে ফিতরা দিয়েছে শুধুমাত্র ঈদ তাদের জন্যই। তবে যাদের রোযা রাখার বয়স হয়নি অথবা বিশেষ কোন কারণে রোযা রাখতে পারেনি তারাও ঈদের এই আনন্দে শরীক হতে পারবে। কিন্তু যারা বিনা কারণে এবং অলসতা করে রোযা রাখেনি তাদের জন্য এ ঈদে আনন্দ নেই। এ ঈদ তাদের জন্য আনন্দ স্বরূপ নয়, বরং তিরস্কার স্বরূপ।

 

রোজা রাখা ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত নয়। কেউ যদি রোজা না রাখে কিংবা না রাখতে পারে তার উপরও সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হবে।

 

সদকাতুল ফিতর নিজের পক্ষ থেকে এবং পিতা হলে শিশু সন্তানের পক্ষ থেকে আদায় করা ওয়াজিব। সাবালক সন্তান, স্ত্রী, স্বামী, অধিনস্ত কর্মচারী এবং মাতা পিতা প্রমুখের পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব নয়। তবে সাবালক সন্তান উন্মাদ বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হলে পিতার জন্য তার পক্ষ থেকে আদায় করা ওয়াজিব।

 

একান্নভুক্ত পরিবার হলে সাবালক সন্তান, মাতা-পিতা এবং স্ত্রীর পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করা মুস্তাহাব; ওয়াজিব নয়। ওয়াজিব না হলেও সঙ্গতি থাকলে সদাকাতুল ফিতর আদায় করা মুস্তাহাব এবং অনেক পূণ্যের কাজ। সাদাকাতুল ফিতর বিষয়ক হাদীসগুলোতে পাঁচ ধরনের খাদ্যদ্রব্যের সন্ধান পাওয়া যায়। ১। গম ২। যব ৩। খেজুর ৪। কিশমিশ ৫। পনির।

 

প্রকৃত রোজাদারদের জন্য রাসুলুল্লাহ (স.) এর ঘোষণা হলো, ‘যারা যথাযথভাবে সিয়াম সাধনা করে তারা ঈদের নামায শেষে নবজাতক শিশুর ন্যায় পাপমুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের জীবনে সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন’।

 

ঈদুল ফিতরের নির্মল আনন্দে মুখরিত হোক মুমিন জীবনের দিক দিগন্ত। মুছে যাক অতীতের যাবতীয় গ্লানী। প্রকৃতপক্ষে ঈদ ধনী-দরিদ্র, সুখী-অসুখী, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সব মানুষের জন্য কোনো না কোনোভাবে নিয়ে আসে নির্মল আনন্দ। ঈদের আনন্দ-খুশিতে ভরে উঠুক সারাদেশ, সমগ্র মুসলিম উম্মাহ।

 

ঈদ মোবারক বা শুভকামনামূলক যে কোনো বাক্য ব্যবহার করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়। ঈদের আনন্দঘন মূহুর্তে সবার মাঝে ভাতৃত্ব বন্ধন দৃঢ় হোক। বিলুপ্ত হোক সব ভেদাভেদ। মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি-সংযম-সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি লাভ করুক এটাই হোক ঈদের ঐকান্তিক কামনা।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

http://coxview.com/wp-content/uploads/2021/12/Day.jpg

২৬ এপ্রিল; ইতিহাসের এইদিনে

  অনলাইন ডেস্ক :আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় অতীত। তাই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/