হামিদুল হক; ঈদগড় :
কক্সবাজার সদর, রামু ঈদগড় ও নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের যাতায়াত সড়কে বেহাল দশা হওয়ায় বর্ষা মৌসুম শুরুর প্রথম ধাপে বিভিন্ন পয়েন্টে ভেঙ্গে গিয়ে সাধারণ জনগণ চলাচলে দারুন বিপাকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ঈদগড়-ঈদগাঁও-বাইশারী এলাকার চলাচলের অধিকাংশ যাত্রীরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। গেল বর্ষা মৌসুমে বর্ষার প্রবল স্রোতে বাইশারী থেকে শুরু করে ঈদগাঁও বাসস্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত সড়কটিতে ব্যাপক ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।
এ রোড দিয়ে এলাকার জনগণ চলাচল করতে হিল লাইন সার্ভিস, সিএনজি, ড্যাম্পার, ট্রাক, টমটম ও মোটর চালিত রিক্সা গাড়ি যাত্রী সেবা দিয়ে থাকে। এসব গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে বিভিন্ন গর্তের সৃষ্টির কারণে সবেমাত্র ১০/১৫ মিনিটের সময়ের ব্যবধানে রাস্তা অনেক সময়, ঘন্টাধিক পর্যন্ত পার হয়ে যায়। এলাকার জনগণ আশায় বুক বেঁধে সরকারী পর্যায়ে উচ্চ পদস্থ রাস্তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার আশা করলেও আদৌ কোন কর্তৃপক্ষ এ জনগোষ্ঠির চলাচলের রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি।
বাইশারী হতে ঈদগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার রাস্তার বর্তমান শুকনো মৌসুমে পর্যন্ত ভাঙ্গাসহ অধিক পরিমাণ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যা দেখার কেউ নেই। এতে নতুন ও পুরাতন চলাচলরত গাড়িগুলো হয়ে যাচ্ছে লক্কর-ঝক্কর মার্কা।
অপরদিকে মালামাল ও যাত্রী পরিবহনকৃত গাড়িগুলো বিভিন্ন সময়ে আদায় করছে নিয়ম বহির্ভূত ভাড়া। বর্তমানে এলাকায় ১০ থেকে ১৫টি ছোট-বড় রাইস মিল, রাবার বাগান, পুলিশ ফাঁড়ি, স্কুল-মাদ্রাসাসহ সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠানের কাজ এগিয়ে চলছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মালামাল আনা-নেয়া ও যাত্রী সাধারণ চলাচল করা বর্তমানে দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা আসলে যে কি করুণ পরিণতি হবে এলাকাবাসী চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ প্রতিবেদক সরেজমিনে পরিদর্শন করলে দেখতে পায়, বাইশারী রোডের ব্যাঙঢেবা নামক স্থানে, ঈদগড় পানের ছড়া, ঈদগাঁওর গজালিয়া, হিমছড়ি, ভোমরিয়াঘোনা ও গরুর দোকান নামক এলাকা এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ, অপরদিকে বর্ষার শুরুতেই ঢল নেমে আসলেই আবারো ভেঙ্গে গিয়ে কৃত্রিম খাল সৃষ্টি হয়ে গাড়ি যাত্রী চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই অনতিবিলম্বে স্ব স্ব জেলার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত এলাকাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে সরকারী উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য এলাকা দাবী জানান। অন্যথায় এলাকাবাসী সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও রাস্তা সংস্কারের দাবীতে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করার মতামত ব্যক্ত করেন।
সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদকের আলাপ হলে তিনি ঐ ইউনিয়নের ঈদগড় রোডের অংশের সংস্কারের টেন্ডার হয়েছে বলে জানান। তবে কি কি কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখেছে তা অবগত নন। তবে তিনি কক্সবাজারস্থ এলজিইডি কার্যালয়ে বিষয়টি তদারকি করবেন বলে আশ্বাস দেন। বাইশারী অংশের ব্যাপারে এ প্রতিবেদক বাইশারীর চেয়ারম্যান মনিরুল হক মনুর সাথে আলাপ হলে বাইশারী যাতায়াত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে নড়বড়ে হওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত। তাই এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আশ্বস্থ করেছেন, বৃহত্ প্রজেক্টের কাজ করতে গেলে একটু সময়ের প্রয়োজন। তাই নিয়ম মোতাবেক যথাসময়ে উক্ত রোডের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
ঈদগড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো জানান, ঈদগড় অংশের কাজ স্বল্প সময়ের মধ্যে আরম্ভ করার প্রচেষ্টা চলছে।
You must be logged in to post a comment.