এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাসস্টেশনে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌরভে মুখরিত মানুষজন। কাঠফাটা রোদে একটু একটু বাতাস, ছায়াশূন্য পথে তৃষ্ণার্ত পথিক। রুদ্র গ্রীষ্ম কেবল আগুনই ঝরায় না, টুকটুকে লালরঙে কৃষ্ণচূড়া পথচারীদের মনও কেড়ে নেয়। কৃষ্ণচূড়া এ সময় নিষ্প্রাণ প্রকৃতির গাছে নিজেকে মেলে আপন মহিমায়। এ গাছে সবখানে ফুলে ফুলে ছড়িয়ে বিমোহিত করে তোলে লোকজনকে। দেখতে খুব সুন্দর। এ ফুল ফোটে মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত। লাল কিংবা নানা রঙের রং ছড়ানো ফুলের ডালের আগাছা গুচ্ছবদ্ধ। আকর্ষণীয় পাতা ও অতীব সুন্দর ফুলের জন্য দেশব্যাপী এ কৃষ্ণচূড়া ফুল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসস্টেশনের মূল পয়েন্টে একটি নিষ্প্রাণ গাছে বর্তমানে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌরভে মুখরিত হয়ে উঠেছে সর্বশ্রেণী পেশার মানুষজন। দেখতে বেশ মানানসই। নজর কাটছে ও তরুণ-তরুণীদের। অনেকে ঐ গাছের তলায় আড্ডা জমিয়ে গল্প গুজব করে দিনে কাটিয়ে দেয়। মনকে একটু সতেজ রাখার লক্ষ্যে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের নামটি শুনলে মনে হয় এক হারানো গানের সুর। সেই কৃষ্ণচূড়ার গাছ আজ অবদিও স্টেশনে জেগে রয়েছে। সময় আসলে সে নিষ্প্রাণ গাছে তরু তাজা ফুল জেগে উঠে লোকজনকে নতুন আনন্দে জাগিয়ে তোলে। গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়ায় সময়ের শিহরণ, গ্রীষ্মের খরতাপে রক্তিম জাগরণ। প্রকৃতি যখন প্রখর রৌদ্রে পুড়ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল তখনই জানিয়ে দেয় তার সৌন্দর্যের অতুলনীয় বার্তা।
You must be logged in to post a comment.