ধর্মের আদর্শ ও উদ্দেশ্য মানুষকে প্রত্যাহিক জীবনে কাজে লাগাতে হবে
মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
ধর্মের পাশপাশি মানুষকে সৎ ও চরিত্রবান হতে হবে। ধর্মের আদর্শ ও উদ্দেশ্য মানুষের প্রত্যাহিক জীবনে কাজে লাগাতে পারলেই আমাদের জন্ম সার্থক হবে। আমরা যদি ধর্মমুখি হয় এবং তা প্রয়োগ করি তাহলে সমাজে মারামারি, হিংসা-বিদ্ধেষ চলে যাবে। সমাজে, রাষ্ট্রে ফিরে আসবে শান্তি।
গত সোমবার রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া সার্ব্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শ্রীবিগ্রহ ও মন্দিরের প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ধর্মসম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মহোৎসব ও মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডাক্তার তেজেন্দ্র লাল দে’র সভাপতিত্বে এবং হারাধন দাশের অনুষ্টান উদ্বোধনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্য ও চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু। এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসস্পন্ন ধর্মতত্তবিদ ও পটিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী রবিশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ।
ধর্মসম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-ঋষিপুত্র ও বাঁশখালীস্থ চিন্তাহারী সাধন পীঠের অধ্যক্ষ স্বামী মহানন্দ পুরী মহারাজ, মনোরঞ্জন দেব বর্মন, চিরিংগা যুবকল্যাণ সমিতির সভাপতি ধনরঞ্জন দাশ, চকরিয়া জুয়েলারী সমিতির উপদেষ্টা নন্দরাম ধর মহাজন, চকরিয়া উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশসহ প্রমুখ।
মঙ্গলবার ভোররাতে শুরু হওয়া ষোড়শ প্রহরব্যাপী নামযজ্ঞে নামসুধা পরিবেশন করছেন- পটুয়াখালীর কানুগোপাল সম্প্রদায়, ভোলার বৈষ্ণব নারায়ন দে সম্প্রদায়, মানিকগঞ্জের নিতাই গৌর সম্প্রদায়, ফিরোজপুরের কৃষ্ণমুরারী সম্প্রদায় ও চকরিয়ার শ্রী গুরু অচ্যুতানন্দ সম্প্রদায়।
You must be logged in to post a comment.