মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিংড়িজোনের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দুই মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভাপতি আবু জাফর বাদি হয়ে আদালতে এ মামলাটি করেন। এতে বিবাদি করা হয়েছে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমান ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত) অমিতোষ সেনকে।
২০ এপ্রিল দায়ের করা মামলাটি আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র স্পেশাল জজ মীর শফিকুল আলম আমলে নিয়ে আগামী ৩ আগষ্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (অনুসন্ধান ও তদন্ত) পরিচালককে নির্দেশ দেন।
রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম লিটন বলেন, চকরিয়া উপজেলার রামপুর মৌজার চিংড়িজোনের সাত হাজার একর জায়গার মধ্যে ৫ হাজার ১৮ একর জায়গা তাদের পুর্ব পুরুষের সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তির মালিকানা ফিরে পেতে ২০১২ সালে সমিতির পক্ষে হাইর্কোটে একটি রিট মামলা (নং ১০৯৬২) দায়ের করেন সমিতির তৎকালীন সভাপতি সামসুল ইসলাম চৌধুরী।
মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারী উচ্চ আদালতের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাশ সমন্বয়ে একটি দ্বৈত বেঞ্চ সমিতির দাবিকৃত ওই জায়গার মালিকানা ফেরত দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। পরে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে বলা হয়।
সমিতির বর্তমান সভাপতি আবু জাফর অভিযোগ করে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভুমি মন্ত্রানালয়ের আদেশ মতে রামপুর সমিতির সভ্যাদের পুর্ব পুরুষের সম্পত্তি ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহনের অজুহাত দেখিয়ে চকরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমান ও কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত) অমিতোষ সেন তাদের (রামপুর সমিতি) কাছ থেকে কয়েকদফায় মোটা অংকের টাকা গ্রহন করেন। কিন্তু পরক্ষণে তাঁরা (দুই মৎস্য কর্মকর্তা) স্থানীয় প্রভাবশালী চিংড়িজমি দখলবাজ চক্রের সাথে আতাঁত করে কৌশলে অনিয়মের আশ্রয় নেয়। উল্টো তাঁরা (অভিযুক্তরা) রামপুর সমিতির সভ্যদেরকে তাদের পুর্ব পুরুষের জায়গা ফেরত পেতে অসহযোগিতা করতে শুরু করেন।
সমিতির সভাপতি আবু জাফর বলেন, টাকা গ্রহনের পরও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে অভিযুক্ত দুই মৎস্য কর্মকর্তা দ্বৈতনীতি পালন করায় বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে আশ্রয় নিয়েছেন।
মামলার ব্যাপারে জানতে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
You must be logged in to post a comment.