কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরীস্থ গ্রামীণ ব্যাংক এলাকায় বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংগঠিত এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ও পিটুনিতে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম হায়দার (৬৫) এবং মারধরে জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এনামুল হক আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে মেয়র প্রার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এঘটনায় নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
এদিকে, ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া দাবী করেন, ধানের শীষ প্রতিকের পক্ষে নির্বাচনী পথসভা শুরু হলে আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা ও গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ ও মারধরে বিএনপি’র প্রার্থী নুরুল ইসলাম হায়দার এবং জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এনামুল হক আহত হয়। এ ঘটনায় কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তাদেরকে মিছিল না করে পরিবেশ শান্ত রাখার নির্দেশ দেন খোকন মিয়া।
ঘটনার ব্যাপারে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী মো: আলমগীর চৌধুরী বলেন, আমার কোন সমর্থক হামলা ও গুলি করেনি। আমার বিজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে ভোটারদের সহানুভুতি আদায় করতে বিএনপি নিজেরাই এ ঘটনা সাজিয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এনামুল হককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ করে দেয়া হয়েছে। নুরুল ইসলাম হায়দারের মাথা, বুক ও বাম পায়ের থাইতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথা ও বুক ফুলে গেছে। পায়ের থাইতে হালকা জখম হয়েছে। এই জখম গুলি নাকি অন্য কিছুতে হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও বুকে ব্যাথা বাড়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জহিরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি ও আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থীদ্বয়ে সমর্থকরা মিছিল করাকালে পাশ কেটে যাওয়ার সময় উভয়ের মধ্যে ধাক্কা ধাক্কি হয়। এতে সামান্য আহত হয় দুইজন। গুলির কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘটনা শুনামাত্রই ঘটনাস্থ ও হাসপাতালে পুলিশ ফোর্স যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
You must be logged in to post a comment.