মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু ছাত্রীকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও ৬ আগস্ট ভিকটিমের মা চকরিয়া থানায় মামলা করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আলী হোছন ডালিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
৭ আগস্ট মঙ্গলবার ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হবে এবং আটক ডালিয়াকে একইদিন আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসির আরাফাত।
আটক আলী হোছন ডালিয়া (৩২) পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে পহরচাঁদা মাদ্রাসা সংলগ্ন স্টেশনে ডালিয়া নামক একটি হোটেলের ব্যবসা করে।
৬ আগস্ট সোমবার বিকালে চকরিয়া থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বাদী দাবী করেন, আমার বাড়ি বরইতলী মিয়াজী পাড়ায়। পাহাড়ী ঢল উঠায় পক্ষকালপূর্বে মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর শিশু ছাত্রী বরইতলীর পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রসা সংলগ্ন ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে গত ২ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে দোকান থেকে ডিম আনতে গেলে ডালিয়া হোটেলের মালিক আলী হোছন ডালিয়া জোরপূর্বক মেয়েকে মোটরসাইকেলে তুলে তিনশত গজ অদূরে জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় মেয়ের চিৎকারে নিকটস্থ লোকজন এগিয়ে এলে ডালিয়া মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। লোকজন আমাকে খবর দিলে মেয়েকে উদ্ধার করি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি আপোষ মিমাংসায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করায় মামলা করতে বিলম্ব হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনার সাথে সাথে ব্যাপারটি কেউ পুলিশকে অবহিত করেননি। সোমবার ভিকটিমসহ তার মা থানায় এসে মামলা করে। মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে হারবাং ফাঁড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদকে নির্দেশ দিই। তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে অবহিত হওয়ার সাথেই সাথেই অভিয়ান চালিয়ে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত আলী হোছন ডালিয়াকে আটক করে।
You must be logged in to post a comment.