ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে দেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ‘৭ নম্বর বিপদ সংকেত’ দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া পায়রা ও মোংলা বন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও উত্তর দিকে সরে বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসায় এ সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
৭ নম্বর বিপদ সংকেতের মানে হল, সাগরে মাঝারী শক্তির একটি ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসছে, যেখানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শাসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘণ্টায় ৭০-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
২৯ মে সোমবার সকাল আটটায় আবহাওয়া অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও ঘনীভূত হয়ে পরবর্তী ১৮ ঘণ্টার মধ্যে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে কাল ৩০ মে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.