সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁওর ডজনাধিক পয়েন্টে স্পীড ব্রেকার নেই

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁওর ডজনাধিক পয়েন্টে স্পীড ব্রেকার নেই

road-speed-brekar

এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁওর ঝুঁকিপূর্ণ ডজনাধিক পয়েন্টে স্পীড ব্রেকারের ব্যবস্থা না থাকায় একের পর এক ঘটে যাচ্ছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। যার ফলে অকালে ঝরে পড়েছে অনেক মূল্যবান তাজা প্রাণ। পাশাপাশি আহত হয়ে অনেকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে।

এদিকে প্রতিযোগিতামূলক অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চলাচলের কারণে ঘটে চলছে এসব দুঘর্টনা। বিশেষ করে, লবণ শিল্প এলাকা ইসলামপুর প্রবেশদ্বার বটতলী স্টেশন, জেলার ডেঞ্জার জোন খাতে নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় টানিং পয়েন্ট, ডুলাফকির টানিং পয়েন্ট, নাপিতখালী খেলার মাঠ সংলগ্ন টানিং পয়েন্ট, তেঁতুলতলী মোড়, ঈদগাঁও বাস স্টেশন, খোদাইবাড়ী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা, ফরিদ আহমদ কলেজ গেইট, আলমাছিয়া মাদ্রাসা গেইট, মেহেরঘোনা জব্বারিয়া মাদ্রাসা’র সম্মুখস্থ সড়কসহ বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ব্যস্ততম সড়ক-উপসড়কের পয়েন্টগুলোতে গতি না থাকাতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। যে কারণে অনেক সম্ভাবনাময়ী প্রাণ অকালে ঝরে পড়েছে। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই মহাসড়কের সন্নিকটে হওয়ায় স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাই সিংহভাগ দুর্ঘটনায় প্রায় একাধিকটি মহামূল্যবান জীবন উপরোল্লিখিত পয়েন্টগুলোতে নিঃশেষ হয়েছে। আহত হয়েছে বহুজন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঈদগাঁওর মত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকাতে অদ্যাবধি কোন গতিরোধক না থাকার ফলে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সচেতন মহলের অভিমত। শুধু গতিরোধক স্থাপনই শেষ কথা নয়, দুর্ঘটনা রোধে নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল, প্রশিক্ষিত চালক, সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারী ও সর্বোপরি জনসচেতনতাই অব্যাহত দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি দিতে পারে সচেতন মহলের ধারণা। তবে ডুলাহাজারা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা শারমিন ও আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী হাসনা শারমিন জানান, মহাসড়কসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের চিহ্নিত পয়েন্টগুলোতে দ্রুততম সময়ে যদি গতিরোধক বসানো হয় তাহলে বহু দুর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তি পাবে এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ লোকজন। বেশ কয়েকজন দুর পাল্লার গাড়ীর হেলপারের মতে, সারারাত ক্লান্ত শরীর নিয়ে গাড়ী চালানোর সময় টেকবাঁকে এসব দুর্ঘটনা বেশির ভাগই ঘটে। তাই এই টেক বা টার্নিং পয়েন্টে সতর্ক চিহ্ন বসানোর দাবী জানান।

এ ব্যাপারে দ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন জনগণ। অপরদিকে একাধিক পথচারী মহাসড়ক কিংবা গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলোতে চিহ্নিত টেকবাঁকে অতিসত্বর গতিরোধক বসানোর জোর দাবীও জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতার মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতা হাজী নূর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/