সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখছে টেকনাফ স্থলবন্দর : ২১ বছরে ৯৯৩ কোটি ১৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায়

দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখছে টেকনাফ স্থলবন্দর : ২১ বছরে ৯৯৩ কোটি ১৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায়

port-office-teknaf-news-pic-1

গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

সরকারের রাজস্ব আয়ে সফলতা বয়ে আনছে টেকনাফ স্থলবন্দর। এই বন্দরটি প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিদিন এই বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে কোটি কোটি টাকার মালামাল আমদানি করে যাচ্ছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর সুত্রে জানা যায়, বিগত ২১ বছর আগে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শুরু হয়। এর পর থেকে স্থলবন্দর ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে আসছে। সুত্রে আরো জানা যায়, ২১ বছরের ব্যবধানে ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে ৩৬ হাজার ১৮ কোটি, ৬২ লক্ষ, ৮৩ হাজার, ৫৬৪ টাকার বিভিন্ন প্রকার মালামাল আমদানি করেছে। তার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রপ্তানি করেছে ১৭৫ কোটি ১৬ লক্ষ্য ১০ হাজার ৪৩৮ টাকার বিভিন্ন প্রকার নিত্য প্রযোজনীয় সামগ্রী। এই সমস্ত মালামাল গুলো আমদানি-রপ্তানি করে ব্যবসায়ীরা সরকারকে ৯৮৩ কোটি ৭৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩২৫ টাকা রাজস্ব দিতে সক্ষম হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় গেল অক্টোবর মাসে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা সরকারের দেওয়া রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা চাড়িয়ে মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন প্রকার মালামাল আমদানি করে সরকারকে ৯ কোটি, ২২ লক্ষ, ২০ হাজার, ৫৭৩ কোটি টাকা রাজস্ব দিতে সক্ষম হয়েছে। তবে অক্টোবর মাসে মিয়ানমারের সাম্প্রাদায়িক সংঘর্ষের কারনে প্রায় ১৫ দিন স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। এইভাবে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে সহযোগীতা করে আসছে এবং দিন বদলের পালা নিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অথচ বিগত ২১ বছরের ব্যবধানে এই বন্দরটির উন্নয়ন করা হয়নি। বন্দরে আসা মালামাল গুলো আরো দ্রুতগতিতে খালাস করার জন্য কোন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি না থাকায় বন্দর শ্রমিকরা জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছে। আবার অনেক শ্রমিক হাত পা ভেঙ্গে পঙ্গুত্ব জীবন-যাপন করছে।

এব্যাপারে টেকনাফ সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণে পর্যটন নগরী টেকনাফ সীমান্ত শহরের এই বন্দর থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে। অথচ এই বন্দরটির উন্নয়নের জন্য তেমন কোন সফলতা আসেনি। তাই আমাদের দাবি টেকনাফ স্থলবন্দরকে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়ন করা হলে সরকার এই স্থলবন্দর থেকে আরো বেশি রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, মিয়ানমারে সংঘঠিত বিভিন্ন প্রকার সমস্যা গুলো নিরসন হলে ব্যবসায়ীরা এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি করে এর চেয়ে আরো দ্বিগুন রাজস্ব দিতে সক্ষম হবে। তিনি আরো বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি আরো বৃদ্ধি করতে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। দুই-দেশের সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকলে সীমান্ত বানিজ্যের ব্যবসা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওতে উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ : নারী ভোটারদের উপস্থিতি : অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ, ইসলামপুর ও ঈদগাঁও ইউনিয়নে ব্যাপক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/