শহীদুল্লাহ কায়সার; কক্সভিউ :
৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলের দিনক্ষণ ঠিক করা হলেও কাউন্সিলর সংক্রান্ত সমস্যার সুরাহা এখনো হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তালিকা থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ত্যাগীও প্রবীণদের স্থান দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত কাদের বাদ দিয়ে কাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে সে ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। শুধু বিতর্কিতদের বাদ কিংবা ত্যাগীদের অর্ন্তভুক্তিকরণ নয়। কাউন্সিলর সংখ্যা নিয়েও রয়ে গেছে মতভেদ। আওয়ামীলীগ’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি ১০ হাজার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে ১ জন কাউন্সিলর। সেই নিয়ম অনুসরণ করে ইতিপূর্বে জেলা আওয়ামীলীগ’র কাউন্সিলর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২‘শ ৯৮ জন।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী জেলার জনসংখ্যার অনুপাতে কাউন্সিলরদের এই সংখ্যা নিরূপন করা হয়েছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা নিয়েও উঠেছে তুমুল বিতর্ক। এ কারণে কতজন কাউন্সিলর সম্মেলনে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করে নেতা নির্বাচন করবেন সে ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি জেলার নেতৃবৃন্দ। বর্তমান জেলা কমিটি ৭১ জন বিশিষ্ট। ওই কমিটির ৪ নেতা বর্তমানে আর জীবিত নেই। তাঁদের স্থলে নেয়া নেতাদের মধ্যে নুরুল মাসুদ মানিক মারা গেছেন এবং আবু তালেব বর্তমানে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সভাপতি। তাঁদের স্থলে কারা কাউন্সিলর হবেন সেই প্রশ্নের কোন সুরাহা করেননি জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।
১১টি সাংগঠনিক কমিটির মধ্যে ৯টি’র কাউন্সিলর তালিকা চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে জোড়াতালি দিয়ে। মহেশখালী এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার কাউন্সিলর তালিকা এখনো সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, আগামী ৪ দিন সময়ের মধ্যে উল্লিখিত উপজেলা দু’টির কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে কোন ঝামেলায় যেতে চাইছে না জেলা আওয়ামীলীগ। আবার তাদের সম্মেলনের বাইরেও রাখা হচ্ছে না। বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে এই সমস্যার সমাধান করার চিন্তা চলছে। এক্ষেত্রে উপজেলা দু’টির সভাপতি। সম্পাদক এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে যাঁরা জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রয়েছেন শুধু তাঁদেরকেই কাউন্সিলর করা হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানকে প্রথম অধিবেশন এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে দ্বিতীয় অধিবেশনের জন্য বাছাই করা হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি সোমবার মুঠোফোনে একথা বলেছেন।
You must be logged in to post a comment.