গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফ উপজেলার দুইটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি-লি। তিনি পালিয়ে আসা নির্যাতিত অবহেলিত রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমার সরকারী বাহিনীর লাগাতার জুলুম-নির্যাতন ও লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর ক্যাম্প প্রশাসন ও এনজিও সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন। দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনার পর টেকনাফ নাফনদীর সীমান্তবর্তী মিয়ানমার কূল ঘেষা এলাকা গুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
২২ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টার দিকে ইয়াংহি-লি নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল টেকনাফের হ্নীলা রেজিষ্ট্যট আনরেজিষ্ট্যট লেদা রোহিঙ্গা বস্তিতে তাদের অবস্থা দেখতে আসেন। তিনি রোহিঙ্গাদের দুর্বিসহ জীবন-যাপনের চিত্র গুলো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে পরিদর্শন করেন। এরপর নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ৩৫-৪০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে প্রায় দু-ঘন্টাব্যাপী তাদের সাথে কথা বলেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি-লি এই সময় তাদেরকে মিয়ানমারে ফিরে যাবে কিনা জানতে চাইলে সেই প্রশ্নের উত্তরে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা বলেন, আমাদের বাপ-দাদার বিটে মাটির বসত-বাড়ির ক্ষতি-পূরণ প্রদানসহ আমাদেরকে নিজের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তার পাশাপাশি তাদের জুলুম, নির্যাতন বন্ধ করে নিরাপদ পরিবেশে আমাদেরকে বাঁচার মত বাচঁতে দিলে আমরা স্বদেশে অবশ্যই ফিরে যাব।
এরপর তিনি নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও আই.আর.সি সাথে কথা বলেন। দুপুর ২ টার দিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী টেকনাফ সীমান্তের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট সমূহ সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। এসময় তার সফর সর্ঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহকারী সচিব বাকি বিল্লাহ টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুষার আহমেদ, এনজিও সংস্থা আইওএম প্রতিনিধিবৃন্দ এবং টেকনাফ আইন-শৃংখলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য। পরে বিকাল সাড়ে ৪ টারদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
You must be logged in to post a comment.